এখনও এই পরিস্থিতিতেই আছেন গ্রামবাসী। ছবি: নির্মল বসু।
ভাঙনের মুখ বাড়ছে। নোনা জলে ভাঙছে মাটির বাড়ি। কিন্তু এখনও সন্দেশখালির মণিপুর গ্রামে বাঁধ মেরামতে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয় এলাকায় ত্রাণও বিলি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে মণিপুর পঞ্চায়েতের তালতলার কাছে বড় কলাগাছি নদীর বাঁধ আচমকা ভেঙে গ্রামের মধ্যে নোনা জল ঢুকতে শুরু করে। কয়েক হাজার একর জমির কয়েক কোটি টাকার বাগদা চিংড়ি মাছ ভেসে গিয়েছে।
আতাপুর, মণিপুর, ধুচনেখালি, পূর্ব আতাপুর এলাকার এক হাজারের উপর বাড়ি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। বহু মানুষ এখনও জলবন্দি। দুষ্কৃতীদের ভয়ে বাড়ি ছেড়েও কেউ বেরোতে পারছেন না। জলের মধ্যেই কোনও রকমে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। বাড়িতে খাবার, পানীয় জল নেই। এলাকায় বিদ্যুৎ নেই শিশুদের খাবারও পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী, রান্না করারও জায়গা নেই। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ত্রাণ না মেলায় চিন্তিত মানুষ।
ওই এলাকার আশেপাশের গ্রামগুলিতেও বাঁধে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্ক বেড়েছে বাসিন্দাদের। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য সুনীল পড়ুয়া বলেন, ‘‘প্রশাসনের পক্ষে দ্রুত বাঁধ মেরামত না করলে এলাকা আরও বড় ভাঙনের মুখে পড়বে।’’
প্লাবনের ফলে এলাকায় সব শেষ হয়ে গেল। তাঁর অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা বাঁধের পিছনে খরচ করা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সরকারি দফতরের সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বারে বারে বাঁধ ভাঙছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য ভারতী সর্দার বলেন, ‘‘চার দিন হয়ে গেল ভাঙন মেরামত তো দূরের কথা। এখনও প্লাবিত এলাকার মানুষের জন্য সরকারের পক্ষে কোনও খাবার পৌঁছয়নি। এমনকী, শিশু খাদ্যও আসেনি।’’
সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, অমাবস্যার ভরা কোটালে জল বাড়ায় বাঁধ ভেঙেছে। খুব শীঘ্রই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। মহকুমাশাসক নীতিশ ঢালি বলেন, ‘‘ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।’’
এ দিকে, মেছোভেড়ি ভাসিয়ে, মাঠ এবং ঘর ছাপিয়ে নোনা জল মণিপুর-তুষখালি বড় রাস্তা ছুঁয়েছে। রাস্তা পার হলে আরও বড় এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এই আশঙ্কাতেই আতঙ্কিত মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy