ফ্লেক্সিটেরিয়ান ডায়েট।
নিয়মিত মাছ, মাংস খেতে পছন্দ করেন না অনেকেই। আবার আনাজপাতি, নিরামিষ তরকারি খেতে ভাল লাগলেও পুরোপুরি নিরামিষাশী কিংবা ভিগান হতে চান না এমন ব্যক্তিও আছেন। সে ক্ষেত্রে প্রাণিজ, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন মিলিয়ে ঠিক কোন ধরনের ডায়েট অনুসরণ করবেন বুঝে পাচ্ছেন না? অনুসরণ করতে পারেন ফ্লেক্সিটেরিয়ান ডায়েট।
কী এই ডায়েট?
পরিবেশবান্ধব এই ডায়েট মূলত ভোজনরসিকদের জন্য। ক্যালোরি মেপে তরিতরকারি, মাছ, চিকেন... ফ্লেক্সিটেরিয়ান ডায়েটে সবই খাওয়া যায়, যেমনটা সাধারণ পরিবারে খাওয়াদাওয়া করা হয়। কিটো, ভিগান, মেডিটেরানিয়ান… নানা বাহারের ডায়েটের তুলনায় ফ্লেক্সিটেরিয়ান ডায়েট অনুসরণ করা সহজ।
কী কী খেতে পারেন?
ওটস, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, সয়াবিন, আনাজপাতি, মরসুমি ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। দুধ, দই, পনির ইত্যাদি দুগ্ধজাত খাবার, বিভিন্ন ডালও খেতে পারেন। সঙ্গে ডিম, গ্রিল করা মাছ, চিকেন সপ্তাহে দু’-তিন দিন খাওয়া যায়। খাবারে পিনাট বাটার, আমন্ড বাটার, অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও, চিয়া, ফ্লেক্স-সহ নানা রকম সিডস, গ্রিন টি ইত্যাদিও খাওয়া যায়।
খেয়াল রাখবেন
প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত কোনও উদ্ভিজ্জ বা প্রাণিজ খাবার একেবারেই চলবে না। সঙ্গে চিনি এবং ময়দাও এই ডায়েটে বারণ। প্রয়োজনে মধু খেতে পারেন। সফট ড্রিঙ্কস, প্যাকেটজাত ফলের রস খাওয়ার অভ্যেস বাদ দিতে হবে।
উপকার কী?
“উদ্ভিজ্জ খাবার এই ডায়েটের মূল। ফলে শরীরের পক্ষে এই ডায়েট ভাল,” বলছেন পুষ্টিবিদ কোয়েল পালচৌধুরী।
এই ডায়েটের সমস্যা
ফ্লেক্সিটেরিয়ান ডায়েটে প্রাণিজ প্রোটিন কম খাওয়ার কারণে অনেক সময়েই শরীরে ভিটামিন বি১২, আয়রন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, জ়িঙ্ক, ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হতে পারে। প্রোটিন, ফ্যাট, শর্করার চাহিদা না-ও মিটতে পারে, যা থেকে পরবর্তী সময়ে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।
ব্যক্তি ও তাঁর দৈনন্দিন কাজের ধরন বিশেষে এই ডায়েট কিছুটা আলাদাও হয়। ফলে ফ্লেক্সিটেরিয়ান ডায়েট অনুসরণ করলেও খাদ্যতালিকায় কী কী রাখবেন সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy