পথচলা: ট্রেন লাইনের উপর দিয়েই যাতায়াত। নির্মল বসুর তোলা ছবি
ঝকঝকে প্ল্যাটফর্ম চত্বর। আধুনিক আলো লাগানো। অথচ প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হোঁচট খেয়ে চলতে হয়। প্রায় দিনই পড়ে হাত-পা ভাঙছে যাত্রীদের।
বসিরহাট চাঁপাপুকুর স্টেশন যাওয়ার রাস্তাটির বেহাল দশা। বিদ্যুতের খুঁটি লাগানো হয়েছে। কিন্তু তাতে এখনও আলো লাগানো হয়নি। মেরামতের অভাবে রাস্তাটি ভেঙে গিয়ে ইট বেরিয়ে গিয়েছে। ওই রাস্তাটি রেলের অধীনে রয়েছে। একাধিকবার সেখানে আলো লাগানোর আর্জি জানানো হয়েছে রেল দফতরকে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যাত্রীরা রেল দফতরের কোথায় অভিযোগ করেছেন তা-ও দেখতে হবে।’’
বসিরহাটের হাসনাবাদ-বারাসত লাইনের মধ্যে ভ্যাবলা হল্ট স্টেশনের পরেই চাঁপাপুকুর স্টেশন। অভিযোগ, স্টেশনে আসতে গিয়ে ছিনতাইবাজদের হাতে প্রায়ই জিনিস খোয়াতে হচ্ছে মানুষকে। এতটাই নির্জন যে সন্ধ্যার পর ওই রাস্তা দিয়ে মানুষ যেতে ভয় পান। ভ্যানরিকশা থেকে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সব কারণে বেশির ভাগ যাত্রীরাই এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন লাইনের উপর দিয়ে হাঁটেন। রাস্তায় এতই ধুলো যে দোকানের জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে।
বসিরহাটের চাঁপাপুকুর, দেবীপুর, রাজেন্দ্রপুর, খোলাপোতা, গাড়াকপি, ঝুরুলি, শীতলিয়া, আন্দুলপোতা, রাজাপুর, মোমিনপুর, বাগপুকুর, রাজনগর, তারাগুনিয়া, খোলাপোতা, রামেশ্বরপুর, বাদুড়িয়া-সহ এলাকার প্রায় ৩০টি গ্রামের ৪০-৫০ হাজার মানুষের ভরসা ওই চাঁপাপুকুর স্টেশন। স্থানীয় সুশান্ত হালদার, পঙ্কোজ পাল, পঞ্চু কাহার, হামু পাল বলেন, ‘‘রাস্তাটি আমাদের কাছে খবুই জরুরি। সংস্কারের অভাবে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া সবসময় ওই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে।’’
বসিরহাট-বারাসাত নিত্যযাত্রীদের মধ্যে অপর্ণা বাছাড়, কবিতা গায়েন, শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি মণ্ডল বলেন, ‘‘আলোহীন বেহাল রাস্তায় রাতে পথ চলতে ভয় লাগে। তার মধ্যে আবার দুষ্কৃতীদের উপদ্রব আছে। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অবিলম্বে ওই রাস্তাটি ঠিক করা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy