রাস্তা গিয়েছে চুরি। ডায়মন্ড হারবার স্টেশনের কাছে ছবি তুলেছেন দিলীপ নস্কর।
ইমারতি দ্রব্যের দখলে রাস্তা।
ডায়মন্ড হারবার স্টেশনের রেল গেট সংলগ্ন রাস্তার ধারে প্রায়ই ইট-বালি-স্টোনচিপস্ স্তূপীকৃত হয়ে পড়ে থাকতে যায়। ফলে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়ায় বাড়ছে যানজট। হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দুর্ঘটনাও ঘটছে আকছার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসন সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয় না।
দিন কয়েক আগে এক মুমূর্ষু রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন তার পরিবারের লোকজন। কিন্তু ডায়মন্ড হারবার স্টেশনের রেল গেটের মুখে আটকে পড়ল সেটি। যানজটে হাঁসফাস করছে গোটা রাস্তা। মাছি গলবার উপায়ও নেই। প্রায় আধ ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবার পরে আস্ত আস্তে অ্যাম্বুল্যান্সের চাকা গড়াল। এই ছবি অবশ্য নতুন নয়। ইমারতি দ্রব্যের চাপে ক্রমশ সরু হচ্ছে রাস্তা।
ডায়মন্ড হারবার স্টেশন লাগোয়া ভারত সেবাশ্রমের সামনে থেকে পিচ রাস্তাটি গুরুদাসনগর স্টেশন হয়ে বারদ্রোন মোড় পর্যন্ত গিয়েছে। প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা দিয়ে যত সামনে যাওয়া যাবে ততই চোখে পড়বে কোথাও রাস্তার এক দিকে, কোথাও আবার দু’দিকেই ডাঁই করা ইট-বালি-স্টোনচিপস্। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভারত সেবাশ্রম স্কুলের গেটের মুখে সারা বছরই ইমারতি দ্রব্য রাখা থাকে। শুধু ব্যবসায়ীরা নন, ওই এলাকায় যাঁরা বাড়ি তৈরির কাজ করেন তাঁরা ভারত সেবাশ্রমের সামনে ইট-বালি-স্টোনচিপস্ ফেলে রাখেন। সেখান থেকে সেগুলি ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাস্তা সংর্কীণ হলেও যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তাই প্রায় প্রতি দিন সকালে রেল গেট থেকে স্টেশন বাজারের মুখ পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন লেগে যায়। সমস্যায় পড়েন অফিস যাত্রী থেকে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। অনেকে যানজটের জন্য ট্রেন ধরতে পারেন না।
স্থানীয় প্রবীন বাসিন্দা রমাকান্ত দলুই, প্রবীর ঘোষেদের দাবি, ‘‘রাস্তাটি ইমারতি ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গিয়েছে। রাস্তার উপরে ইট, পাথর রাখা থাকায় মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটছে। পুরসভা সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার উপ পুরপ্রধান পান্নালাল হালদার সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই রাস্তায় যাতে কেউ ইট, বালি, পাথর ফেলে না রাখে সেই নিয়ে আগে মাইকে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই পুরসভায় বৈঠক করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy