বিপত্তি: গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকানঘর। বনগাঁয়। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
বটগাছের বিশাল ডাল ভেঙে পড়ল যশোর রোডে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন এক বাইক আরোহী। ঘটনার জেরে ঘণ্টাখানেক রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যানজট তৈরি হয়। ডালের আঘাতে ট্রাফিক সিগন্যালের পোস্ট, আলো ভেঙে গিয়েছে।
সোমবার রাত সওয়া ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার চোংদা মোড় এলাকায়। ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ যানচালক, পথচারীরা যশোর রোডের পাশে থাকা গাছের শুকনো মরা ডাল কাটার দাবি তুলেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, আর কত দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসনের হুঁশ ফিরবে।
ঘটনাস্থলের কাছেই দোকান ভীম দত্তের। তিনি বলেন, ‘‘দোকান বন্ধ করছিলাম। এমন সময়ে বিকট শব্দে ডাল ভেঙে পড়ে। রাস্তায় যানবাহন না থাকায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।’’
ঘটনার পরে হাবড়ার পুরপ্রশাসক নারায়ণ সাহা, থানার আইসি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় এবং দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। ডাল কেটে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।
হাবড়া শহরে ঘুরে দেখা গেল, যশোর রোডে বেশ কিছু শুকনো বিপজ্জনক ডাল ঝুলে আছে। নীচে রয়েছে দোকানপাট। রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। পথচারীরা হেঁটে যাতায়াত করছেন। গাড়ির আঘাতে বেশ কিছু গাছ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় আছে। বছর দু’য়েক আগে হাবড়া শহরে হাটথুবা এলাকায় গাছের ডাল ভেঙে এক বাইক চালক গুরুতর জখম হয়েছিলেন।
হাবড়ার পুরপ্রশাসক নারায়ণ সাহা বলেন, ‘‘শহরে যশোর রোডের শুকনো মরা ডাল কাটার জন্য আগেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সমীক্ষার কাজও শেষ হয়েছে। আমপানে প্রচুর ডাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। আবারও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’’ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে বিপজ্জনক ডাল কাটার কাজ শুরু করা হবে।
অন্য একটি ঘটনায়, রবিবার রাতে বনগাঁর ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েতের খলিতপুর এলাকায় যশোর রোডের পাশে গাছের ডাল ভেঙে একটি বন্ধ কাঠের দোকানের উপরে পড়ে। দোকানে তখন কেউ ছিলেন না। ফলে বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। দোকান ও একটি বাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘যশোর রোডে শুকনো বিপজ্জনক ডাল কিছু কাটা হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বাকি ডাল কাটার দরপত্র ডাকার কাজ শেষ করেছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’’
পেট্রাপোল থেকে দত্তপুকুর পর্যন্ত যশোর রোডে কিছু গাছে শুকনো ডাল বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে রয়েছে। অটো নিয়ে যাওয়ার পথে এক চালক বলেন, ‘‘বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হচ্ছে।’’ যশোর রোড দিয়ে রোজ হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। অভিযোগ, সড়কে যাত্রী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। প্রায়ই ডাল ভেঙে মৃত্যু, জখমের ঘটনা ঘটেছে। দিন কয়েক আগে বনগাঁ শহরে অবশ্য শুকনো বিপজ্জনক ডাল কাটার কাজ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy