Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

কারখানার বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে খাল, প্রতিবাদে পথ অবরোধ 

গেঞ্জি কারখানার কেমিক্যাল ও বর্জ্য থেকে দূষিত হচ্ছে বিদ্যাধরী খালের জল। বিভিন্ন মহলে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ বার পথে নেমে আন্দোলন শুরু করলেন হাবড়া ও দত্তপুকুর থানা এলাকার মানুষ।

আগুন: বিক্ষোভে পুড়ল টায়ার। ইনসেটে, খালে মিশছে কারখানার বর্জ্য। ছবি: সুজিত দুয়ারি

আগুন: বিক্ষোভে পুড়ল টায়ার। ইনসেটে, খালে মিশছে কারখানার বর্জ্য। ছবি: সুজিত দুয়ারি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩০
Share: Save:

গেঞ্জি কারখানার কেমিক্যাল ও বর্জ্য থেকে দূষিত হচ্ছে বিদ্যাধরী খালের জল। বিভিন্ন মহলে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ বার পথে নেমে আন্দোলন শুরু করলেন হাবড়া ও দত্তপুকুর থানা এলাকার মানুষ। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে থেকে রাউতারা ও বাকপুল এলাকায় অবরোধ করা হয়। গাছের গুঁড়ি ফেলে বিড়া-বদর সড়কও আটকে দেওয়া হয়। গার্ডরেল সড়কে আড়াআড়ি রেখে দেওয়া হয়। শেষে বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে দেন মানুষজন। অনেকগুলি টায়ার এনে রাস্তায় পোড়ানো শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের বচসাও বাধে।

যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। অনেকে পিকনিকে যাচ্ছিলেন। তাঁদের গাড়িও আটকে পড়ে। হাবড়া ও দত্তপুকুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে পৌনে তিন ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে।

এলাকার বড় গেঞ্জি কারখানা থেকেই মূলত খালের জল দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। কারখানাটি বন্ধ রয়েছে সোমবার থেকে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে কারখানায় সরেজমিন তদন্ত হবে। নথিপত্র রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাসিন্দারা জানান, বিদ্যাধরী খালের একপাশে রাউতারা, অন্য দিকে বাকপুল গ্রাম। এলাকায় কয়েকটি গেঞ্জি কারখানা রয়েছে। তার মধ্যে একটি বড় কারখানা বিষাক্ত কেমিক্যাল-সহ যাবতীয় আবর্জনা খালের জলে গিয়ে পড়ে। জলের রঙই পাল্টে গিয়েছে। কাঁচা নালার মধ্যে দিয়ে কেমিক্যাল ও বর্জ্য পড়ছে খালে। এর ফলে দুর্গন্ধে খাল সংলগ্ন এলাকার মানুষের বসবাস করা দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ। গ্রামবাসীদের দাবি, সম্প্রতি আট জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ ঘোষ বলেন, ‘‘দুর্গন্ধে বাড়িতে টেঁকা যাচ্ছে না। ভাত খাওয়া যাচ্ছে না। বমি হয়ে যাচ্ছে। শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে বেশি।’’ মনিকা রায় নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘খালে স্নান করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রান্নার কাজেও ওই জল ব্যবহার করতাম। এখন তাও বন্ধ।’’ সমস্যায় পড়েছেন আনাজ চাষিরাও। খালের জল তাঁরা আর সেচের কাজে লাগাতে পারছেন না।

সেচ দফতরের বিদ্যাধরী ড্রেনেজ ডিভিশনের নিবার্হী বাস্তুকার সোমেন মিশ্র বলেন, ‘‘দূষণের হাত থেকে খালটিকে বাঁচাতে পদক্ষেপ

করা হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Waste Management Factory waste Road Block
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE