Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
River Erosion

মাটির বাঁধে ধস, আতঙ্ক গ্রামে

রাত ৩টে পর্যন্ত নদীবাঁধ মেরামতি করে গ্রামে জল ঢোকার পথ বন্ধ করেন সকলে মিলে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে প্রায় চল্লিশ ফুট এলাকা জুড়ে ফের ধস নামে।

ধস নেমে বিপজ্জনক পরিস্থিতি।

ধস নেমে বিপজ্জনক পরিস্থিতি। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোসাবা  শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৬
Share: Save:

আচমকা নদীবাঁধে ধস নামায় আতঙ্ক ছাড়াল গোসাবার পাখিরালায় গ্রামে। রাঙাবেলিয়া পঞ্চায়েতের পাখিরালয় গ্রামে শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ গোমর নদীর বাঁধে ধস নামে। গ্রামের মানুষজন সেই বাঁধ মেরামতিতে হাত লাগান। খবর পেয়ে সেচ দফতরের কর্মীরাও এসে মেরামতির কাজ শুরু করেন।

রাত ৩টে পর্যন্ত নদীবাঁধ মেরামতি করে গ্রামে জল ঢোকার পথ বন্ধ করেন সকলে মিলে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে প্রায় চল্লিশ ফুট এলাকা জুড়ে ফের ধস নামে। শনিবার সকালে সেচ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে মেরামতির কাজ শুরু করেন। গ্রামে জল ঢোকা বন্ধ করতে ধসের পিছনেই রিং বাঁধ নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। রিং বাঁধের ফলে তিনটি বাড়ি সেই বাঁধের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, বার বার এই এলাকায় বাঁধ ভাঙছে। কিন্তু প্রশাসন কংক্রিটের বাঁধ তৈরির উদ্যোগ করছে না। গোসাবার বিডিও বিশ্বরূপ বিশ্বাসের কথায়, “আপাতত বিপর্যয় সামলে দেওয়া গিয়েছে।”

স্থানীয় বাসিন্দা মনোহর বাছার, বিশাখা সর্দারেরা বলেন, “মাটির বাঁধ এই এলাকায় টিকবে না। শক্তপোক্ত কংক্রিটের বাঁধ চাই। কিন্তু তেমন কোনও উদ্যোগ দেখছি না। বার বার আমাদের জমি-জায়গা, ঘর নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে।”

স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেষ মণ্ডল বলেন, “সুন্দরবনের এই জলপথকে আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে ব্যবহার করছে কেন্দ্র সরকার। অথচ, এই এলাকার বাঁধ মেরামতির জন্য কোনও উদ্যোগ করছে না। জাতীয় সড়ক যদি কেন্দ্র মেরামত করে, তা হলে এই আন্তর্জাতিক জলপথ কেন মেরামত করবে না? এ দিকে, একশো দিনের টাকাও দিচ্ছে না। তা হলে কী ভাবে এই বাঁধ কংক্রিটের হবে?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

gosaba
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE