প্রতীকী ছবি।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে জমে ছিল আবর্জনা। নিজেদের ঘরেই কার্যত ‘ভ্যাট’ আগলে বাস করেছেন ব্যারাকপুর পুরসভার বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা। ওই পুর এলাকায় সোম, বুধ ও শুক্রবার— এই তিন দিন বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়।
গত সপ্তাহে ষষ্ঠী পড়েছিল সোমবার। সে দিন ময়লার গাড়ি এলেও বুধবার অষ্টমী ও শুক্রবার দশমীতে ছুটি থাকায় গাড়ি আসেনি। তার পরে শনি ও রবিবারও ছুটির দিন হওয়ায় উপচে পড়া দুই বালতি আবর্জনার সঙ্গেই বাস করতে হয়েছে বাসিন্দাদের, মূলত যাঁরা কোনও আবাসনে থাকেন। আর যাঁরা বাড়িতে থাকেন, তাঁরা হয়তো বারান্দায় বা বাড়ির বাইরে সেই স্তূপীকৃত আবর্জনা রাখতে বাধ্য হয়েছেন। এই সোমবার অবশ্য অধিকাংশ জায়গাতেই ময়লার গাড়ি এসেছে।
বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ কলকাতা শহরে জরুরি পরিষেবার মধ্যে পড়লেও শহরতলির বহু পুর এলাকায় এখনও সপ্তাহের নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনেই পুরসভার ময়লা নেওয়ার গাড়ি আসে। ‘হেরিটেজ’ পুরসভা ব্যারাকপুরও তার ব্যতিক্রম নয়। আর সমস্যা সেখানেই।
এত দিন ধরে ময়লা পরিষ্কার না হওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চন্দনপুকুরের বাসিন্দা তন্তুশ্রী হালদার বা সঙ্গীতা মিত্রেরা। জাফরপুরের পিয়ালি চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘শুধু পুজোর ছুটি বলেই নয়, এমনিতেও মাঝে মাঝেই ময়লার গাড়ি আসে না।’’ আনন্দপুরী এ রোডের বাসিন্দা শিবানী সাউ বলেন, ‘‘পুজোর ক’টা দিন কার্যত ভ্যাটের মধ্যে বাস করেছি। পুরসভা জঞ্জাল সংগ্রহের বিষয়টিকে জরুরি পরিষেবা হিসাবে বিবেচনা করলে খুব উপকৃত হই।’’ বাসিন্দাদের অভিযোগ, ময়লার যে গাড়িগুলি আসে, সেগুলিও ভাঙাচোরা। তাই রাস্তায় ময়লা ছড়িয়ে পড়ে।
‘সবুজ শহর’ বলে পরিচিত ব্যারাকপুর এখন কার্যত কংক্রিটের জঙ্গল। ফাঁকা জায়গায় তো বটেই, পুরনো বসত বাড়ি ভেঙেও প্রচুর বহুতল তৈরি হয়েছে। বোজানো হয়েছে জলাশয়ও। আবর্জনা ফেলার জন্য আগে পাড়ায় পাড়ায় কিছু নির্দিষ্ট জায়গা থাকলেও এখন সে সব উধাও। ওল্ড ক্যালকাটা রোডের মুক্তপুকুরে ব্যারাকপুর পুরসভার আবর্জনার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে নতুন করে জঞ্জাল থেকে সার তৈরির প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। সেখানকার কর্মীরাও জানালেন, পুজোর ছুটিতে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় ক’দিন আবর্জনা সংগ্রহ করা যায়নি। যদিও পুরসভার মুখ্য প্রশাসক, তৃণমূলের উত্তম দাসের দাবি, ‘‘আমরা রোজই আবর্জনা পরিষ্কার করাই। যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। পুজোয় আবর্জনা বিভাগে ছুটি ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy