Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Bangaon

অনুষ্ঠান শেষেও থেকে যায় তোরণ, বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সড়কে ওভারগেট তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট সড়ক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন হয়।

ভোগান্তি: অনুষ্ঠান শেষের দীর্ঘদিন পরও দেখা যায় এই ছবি। ফাইল চিত্র 

ভোগান্তি: অনুষ্ঠান শেষের দীর্ঘদিন পরও দেখা যায় এই ছবি। ফাইল চিত্র 

নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:০২
Share: Save:

বনগাঁ শহরের সরু রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা লেগে থাকে। পণ্যবাহী ট্রাক ও টোটো-অটোর দৌরাত্ম্যে পথ চলা দায়। তারই মধ্যে সড়কগুলির উপরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রচারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় ওভারগেট বা তোরণ। রাস্তা হয়ে যায় আরও সংকীর্ণ। শহবাসীর দাবি, যানজট ও দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ ওই তোরণ।

প্রায় সারা বছরই তোরণ বাঁধা থাকে বনগাঁর রাস্তায়। অভিযোগ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়-সহ যে কোনও অনুষ্ঠানেই উদ্যোক্তাদের এই তোরণ বাঁধা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সচেতনতার বালাই নেই।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সড়কে ওভারগেট তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট সড়ক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন হয়। অভিযোগ, বাস্তবে সেই অনুমতি ছাড়াই তোরণ তৈরি হয়। বাসিন্দারা জানান, অনুষ্ঠান শুরুর সপ্তাহখানেক আগে থেকেই তোরণ তৈরি হয়ে যায়। তোরণের জন্য যানজট বাড়ে। অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলেও তোরণ খোলার তাড়া থাকে না কারও।

যশোর রোড, বাগদা রোড, চাকদহ রোড, রামনগর রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ছাড়াও ছোটখাটো রাস্তাতেও তোরণ বাঁধা হয়।

কয়েক বছর আগে বনগাঁ পুলিশ-প্রশাসন ও পুরসভার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, অনুষ্ঠান শেষের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তোরণ খুলে নেওয়া বাধ্যতামূলক। ডেকরেটর মালিকদের সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়। নিয়ম মানা না হলে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছিল। দিন কয়েক নিয়ম মেনে কাজ হলেও ইদানীং আর তোরণ খোলা হয় না বলে অভিযোগ।

শহরবাসীর একাংশের দাবি, অনুষ্ঠান শেষের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তোরণ খুলে ফেলার ব্যবস্থা করুক পুলিশ-প্রশাসন। যশোর রোড সম্পূর্ণ তোরণমুক্ত করারও দাবি রয়েছে তাঁদের।

কী বলছে রাজনৈতিক দলগুলি?

সিপিএম নেতা পীযূষকান্তি সাহা বলেন, “পুলিশ-প্রশাসনের উদাসীনতার ফলে তোরণ খোলা হয় না। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শাসকদল এ কাজ করছে। আমরা তোরণ বাঁধলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা খুলে ফেলি।”

পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডল বলেন, “পুলিশ-প্রশাসনকে অনুরোধ, অনুষ্ঠান শেষের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তোরণ খোলার ব্যবস্থা করুন। আমরা তোরণ বাঁধলে সময় মতো খুলে ফেলি।”

বনগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্পাদক বিনয় সিংহ বলেন, “তোরণে বাঁশ বাঁধাই থাকে। ডেকরেটরেরা এক অনুষ্ঠান শেষ হলে অন্য অনুষ্ঠানের অপেক্ষা করেন। পরবর্তী সময়ে সেখানে ফ্লেক্স ব????? ??? ?? ????

?????? ???? ??? ????????? ????? ????? ????, ???????? ??? ??? ???? ???? ?????? ??? ????????? ??????? ??? ??? ????, ????????? ??? ???????

?????? ??????? ???? ????? ?????????, ????????? ?? ?????? ??????? ????? ??? ????? ???? ???? ????? ????? ???? ???? ?? ??? ??????? ??? ???? ?????????? ?????????? ???????? ?????, ?????? ???? ????????? ????? ?????? ???? ?????দলালে খরচ কম হয়।”

তৃণমূল নেতা তথা পুরপ্রধান গোপাল শেঠের কথায়, “পুরসভার আইন নেই তোরণ খুলে ফেলার। তবে আগামিদিনে জরিমানা করা যায় কিনা, পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”

বনগাঁর এসডিপিও অর্ক পাঁজা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশ দেওয়া আছে দ্রুত তোরণ খুলে ফেলার জন্য। নিয়ম মানা না হলে পদক্ষেপ করা হবে। মহকুমাশাসক প্রেমবিভাস কাঁসারিও জানান, অভিযোগ পেলে প্রশাসনিক স্তরে বিষয়টি দেখা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Bangaon Road accidents
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy