ধর্মঘটের সমর্থনে বাম কর্মীদের সঙ্গে পা মেলালেন সরকারি কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অশোকনগরে। ছবি: সুজিত দুয়ারি
ডিএ বাড়ানোর দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে দুই ২৪ পরগনার সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন। অনেক শিক্ষক সংগঠন পড়াশোনা বন্ধ রেখেই ধর্মঘট পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে কাকদ্বীপ মহকুমার একাধিক প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকেরা। এ ছাড়া, অন্যান্য সরকারি দফতরের কর্মীরাও ধর্মঘটে শামিল হবেন বলে জানিয়েছেন। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্য, সাগরের বঙ্কিমনগর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক প্রেমাংশু সাহু বলেন, ‘‘ডিএ-র দাবিতে আমরা অবশ্যই ধর্মঘটে শামিল হব।’’
ক্যানিং এলাকার স্কুলগুলিতে পড়াশোনা বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করা হবে না বলে জানা গিয়েছে শিক্ষক সংগঠনের তরফে। তবে বেশ কয়েকটি স্কুল পঠনপাঠন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ধর্মঘট পালনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। ইতিমধ্যে মথুরাপুরের বেশ কিছু স্কুলের শিক্ষকেরা কর্মবিরতির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলে, ‘‘ধর্মঘট পালনের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা আবেদন করেছেন। সে ক্ষেত্রে শনিবার পুরো সময় ক্লাস নিয়ে ঘাটতি পূরণ করা হবে।’’
‘অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস’-এর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘‘ধর্মঘটে আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন আছে। অনেক স্কুলেই শিক্ষকেরা আসবেন না।’’
রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সঞ্জীব বসু বলেন, ‘‘আমরা নায্য দাবিতে আইন মেনে ধর্মঘট করছি। এটা আমাদের অধিকার।’’
ধর্মঘটের সমর্থনে বৃহস্পতিবার দুপুরে বারাসতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে আদালত পর্যন্ত মিছিল করেন শাসক বিরোধী শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
ধর্মঘট সফল করতে এ দিন মিছিল হয় অশোকনগরে। বাম সমর্থিত শিক্ষক সংগঠনের পাশাপশি মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় পুরকর্মীদের। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যেরাও ছিলেন। ধর্মঘট সফল করতে মিছিল হয়েছে হাবড়াতেও।
এ দিকে, সরকারি কর্মীদের কাজে যোগদানের জন্য আবেদন করেছেন রাজ্য সরকারি ফেডারেশন কমিটির জেলা নেতৃত্ব। রাজ্য সরকারি ফেডারেশন কমিটির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতা ভাস্কর নন্দী বলেন, ‘‘রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মঘট করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। যাঁরা ধর্মঘট পালন করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসককে অনুরোধ করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy