আবর্জনার মধ্যেই মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুরে আদি গঙ্গায় চলছে পুণ্যস্নান। ছবি: দিলীপ নস্কর।
আদি গঙ্গায় পুণ্যস্নান থেকে ত্রিশূল স্নান যাত্রা— দুই ২৪ পরগনার নানা জায়গায় পৌষ সংক্রান্তিতে নানা উৎসবে মেতে উঠলেন পুণ্যার্থীরা। তবে অভিযোগ রইল দূষণ নিয়েও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর মহাশ্মশানের কাছে পৌষ সংক্রান্তি মেলায় আদি গঙ্গায় পুণ্যস্নানে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। মন্দিরবাজার পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালনায় মকর সংক্রান্তির স্নান সারতে মঙ্গলবার ভোর থেকেই সেখানে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান। আদি গঙ্গার ৫-৭টি ঘাট ছাড়াও অস্থায়ী কয়েকটি ঘাট তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটে মহিলা ও পুরুষ পুণ্যার্থীদের আলাদা স্নানের ব্যবস্থা রয়েছে।
দূষণ এড়াতে জলে আবর্জনা তুলে ফেলে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে তাতেও দূষণ এড়ানো যায়নি বলে ক্ষোভ পুণ্যার্থীদের। আদি গঙ্গার পাড়ে বসেই মৃতদের পরিজনেরা বাৎসরিক কাজ করেন। সেখানে ফুল, বেলপাতা, কলাগাছ-সহ নানা জিনিস ব্যবহার হয়। কাজের শেষে তা গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়। ওই সমস্ত আবর্জনা স্নানের ঘাটের পাশে ভেসে থাকে। তার মধ্যেই পুণ্যস্নান সারতে হল। রায়দিঘির বাসিন্দা বৃদ্ধা কমলা পুরকাইতের আক্ষেপ, ‘‘লক্ষাধিক মানুষকে গঙ্গায় ভেসে থাকা আবর্জনা ঠেলে স্নান
করতে হয়।’’
এই গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে বিশাল এলাকা জুড়ে মেলাও বসে। ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার স্টল রয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য অস্থায়ী ৩০-৪০টি শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার থেকে গাড়িতে করে জলের জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশি তদারকির পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকেরাও রয়েছেন। তবে ভিড়ের তুলনায় পরিকাঠামোর খামতি আছে বলে অভিযোগ। একটি স্টলের বিক্রেতা রহিম মোল্লার অভিযোগ, ‘‘যথেষ্ট পরিমাণ পানীয় জল ও শৌচালয় নেই।’’
দু’দিন গঙ্গাস্নানের পরেও জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য মেলা চলবে ৮-১০ দিন ধরে। মেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ বার মেলায় প্রায় আড়াই-তিন লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে। মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার বলেন, ‘‘শৌচালয় ও পানীয় জলের ব্যবস্থা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। পাইপলাইনের জল সরবরাহ শুরু হলে সঙ্কট মিটবে।’’
পুণ্যার্থীদের ঢল নামে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটেও। পৌষ পূর্ণিমা উপলক্ষে ভারত সেবাশ্রমের উদ্যোগে কানমারি এলাকায় ত্রিশূল স্নান যাত্রা উৎসব শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। এ দিন কানমারি শাখার ভারত সেবাশ্রম থেকে কয়েকশো মহিলাদের নিয়ে শুরু হয় বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা। প্রায় এক কিলোমিটার হেঁটে বিদ্যাধরী নদীতে গঙ্গা পুজোর পরে ত্রিশূল স্নান করানো হয়। পরে ত্রিশূল মাথায় নিয়ে সেবাশ্রমের মন্দিরে প্রবেশ করেন কর্মকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy