ভাঙাচোরা: স্কুলের হাল
কোনও ঘরের ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ছে। কোনওটায় আবার মৌমাছি বাসা বেঁধেছে। ছাদ দিয়ে বৃষ্টির জলও পড়ছে ঘরে। দরজা জানালা সব ভাঙা।
গাইঘাটার রামচন্দ্রপুর পল্লিমঙ্গল বিদ্যাপীঠ স্কুলের দোতলার ৮টি ক্লাসঘরেরই এই অবস্থা। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে স্কুলের এই পরিস্থিতি হওয়ায় দোতলায় ক্লাস নিতে পারেন না শিক্ষকেরা। বাধ্য হয়ে ভবনের একতলাতেই পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলে। এতে সমস্যায় পড়ুয়া থেকে শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষা দফতর ও প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে একাধিকবার ঘর সংস্কারের জন্য টাকার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। রণদাপ্রসাদ দাস নামে এক প্রাক্তন ছাত্র বলেন, ‘‘আমরাও চেষ্টা করছি ওই ঘরগুলি সংস্কার করতে। তার জন্য বিভিন্ন মহলে আমরা দরবার করছি।’’ মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘরগুলি তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক ভাবে আমরাও চেষ্টা করছি।’’
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবীন দাস বলেন, ‘‘আগে প্রত্যেকটি শ্রেণির পড়ুয়াদের চারটি করে সেকশনে ভাগ করে পড়ানো হত। কিন্তু ওই ঘরগুলি ব্যবহারের অযোগ্য হওয়ায় শ্রেণি প্রতি দু’টি করে সেকশন করা হয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে।’’
ওই এলাকায় বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষের বাস বেশি। স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা এখন প্রায় সাড়ে ৯০০। ২০০৮ সালের আগে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল অনেক বেশি, দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। এলাকাটি গাইঘাটা বিধানসভার মধ্যে পড়ে। সম্প্রতি স্কুলে গিয়েছিলেন বিধায়ক পুলিনবিহারী রায়। তাঁর কথায়, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেছি একটি প্রকল্প তৈরি করে আমার কাছে জমা দিতে। ওই ঘরগুলি আর সংস্কার করা যাবে না। নতুন করে তৈরি করতে হবে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।’’ তবে ওই ভবন ছাড়াও স্কুলের কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। স্কুলে আজও পাঠাগার নেই। পড়ুয়াদের সাইকেল রাখার শেড নেই। স্কুল চত্বরে বৃষ্টির সময় জল জমে যায়। তার মধ্যে দিয়েই পড়ুয়া ও শিক্ষকদের যাতায়াত করতে হয়। বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতির অভাব আছে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy