Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Bhangar

‘মডেল’ হতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ি

মাঝপথে থমকে যায় কাজ। দরজা-জানলা লাগানো হয়নি, রং করা হয়নি। ওই ভাবেই চালু হয়ে যায় কেন্দ্রটি। ইদানীং দেওয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে।

দরজা-জানলা থাকলেও নেই পাল্লা। নিজস্ব চিত্র

দরজা-জানলা থাকলেও নেই পাল্লা। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৩ ০৭:৫৫
Share: Save:

ঘরে দরজা-জানলা বসেনি। অবাধ যাতায়াত বহিরাগতদের। সন্ধ্যা নামলেই বসে মদ-গাঁজা-জুয়ার আসর। এমনই অবস্থা ভাঙড় ২ ব্লকের কাশীপুরের চড়কপোতা এলাকার ২২২ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, নজরদারি না থাকায় ওই কেন্দ্রে চলে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম। গ্রামের মহিলারা সন্ধ্যার পরে কেন্দ্রের পাশ দিয়ে যেতে ভয় পান। কেন্দ্রের শৌচালয়ে মলমূত্র ত্যাগ করে দুষ্কৃতীরা। সেটি শিশুদের ব্যবহারের পক্ষে অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রের কর্মী, সহায়িকারা জানালেন, আগে কেন্দ্রটি চলত এলাকারই একটি প্রাথমিক স্কুলের বারান্দায়। পরে ‘মডেল কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পদক্ষেপ করা হয়। ২০১৫ সালে প্রাথমিক স্কুলের কাছেই একটি জমিতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য ভবন গড়ে ওঠে। একই ছাদের নীচে রান্নাঘর, ক্লাসরুম, স্টোর রুম, শৌচালয় ও পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা হয়।

কিন্তু মাঝপথে থমকে যায় কাজ। দরজা-জানলা লাগানো হয়নি, রং করা হয়নি। ওই ভাবেই চালু হয়ে যায় কেন্দ্রটি। ইদানীং দেওয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। শৌচালয়ের ফাইবারের দরজা ভেঙে গিয়েছে। খুবই অপরিচ্ছন্ন। চুরির ভয়ে মিড ডে মিলের চাল-ডাল অন্যত্র রাখেন কর্মী-সহায়িকারা।

স্থানীয় বাসিন্দা নিরাপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দরজা-জানলা না লাগানোর ফলে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়ে চলেছে।’’ কেন্দ্রের সহায়িকা পাপিয়া চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন এই কেন্দ্রের কাজ সম্পূর্ণ হল না, তা জানা নেই। সকালে কেন্দ্রে এসে দুষ্কৃতীদের মলমূত্র সাফ করতে হয়। মদের বোতল-গ্লাস ফেলতে হয় আমাদের। এই পরিবেশে কী পড়াশোনা হয়!’’

ভাঙড় ২ ব্লক এলাকায় প্রায় ৩০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। অধিকাংশ কেন্দ্রের নিজস্ব দরজা-জানালা আছে, ঘরে রং হয়েছে। অথচ, এই কেন্দ্রটি বেহাল। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বিষয়টি জানিয়েও কোনও কাজহয়নি। ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আব্দুররহিম মোল্লা বলেন, ‘‘আভ্যন্তরীণকিছু সমস্যার কারণে কেন্দ্রটির সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে।’’ ভাঙড় ২ বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি আমারনজরে এসেছে। অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। যাতে দ্রুত ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজ সম্পূর্ণ করা যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bhangar Anganwadi center
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy