আটক: ষষ্ঠীপদ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
পাইপের মাধ্যমে মাটির তলা থেকে জল তুলে বোতলে ভরা হচ্ছে। এরপর বোতলের গায়ে লোগো লাগিয়ে পরিশুদ্ধ পানীয় জল হিসেবে উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া বাজারে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দোকানে তা রমরমিয়ে বিক্রিও হয়।
এমনই একটি বোআইনি জলের কারখানার হদিস পেল এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট।
শনিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা এনফোর্সমেন্ট ডিপারমেন্টের একটি দল ও বাগদা থানার পুলিশ যৌথ ভাবে বাগদার নলডুগারি এলাকায় হানা দেয়। সেখানে তখন বোতলে পানীয় জল ভরা হচ্ছিল। পুলিশ প্রচুর পানীয় জলের বোতল আটক করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই সংস্থার মালিক ষষ্ঠীপদ ঘোষকে। বাড়ি পারমাদনে। কারখানাটি আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই জল জীবাণু মুক্ত কিনা তাও পরীক্ষা করা হয় না ওই কারখানায় বলে পুলিশ জানায়।
আটক: জলের বাক্স উদ্ধার হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ লিটার, ৫০০ মিলি লিটার ও ২ লিটার বোতলে জল বিক্রি করা হয়। ১ লিটার জলের বাজারে বিক্রি হয় ২০ টাকায়। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, নথিপত্রে ওই সংস্থার ম্যানুফাকচারিং ইউনিট হিসাবে মধ্যমগ্রামের একটি কারখানার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে তাদের কোনও ইউনিটের খোঁজ মেলেনি। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই জল পরীক্ষার জন্য একজন কেমিস্ট রাখা বাধ্যতামূলক। তিনিই জল পরীক্ষা করে শংসাপত্র দেবেন। ওই কারখানায় তা নেই।’’ শুধু তাই নয়, ওই কারখানায় একজন নকল কেমিস্ট রাখা হয়েছিল। তার খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পানীয় জলের পাশাপাশি ওই কারখানাতেই বোতলও তৈরি করা হতো। যা পুরোপুরি বেআইনি। এ দিকে অন্য জায়গার ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। বাস্তবে সেখানে কিছুই তৈরি করা হয় না। ট্রেডমার্ক হিসাবে যে রেজিস্ট্রেশনের উল্লেখ করা হয়েছে সেটিও অন্য একটি সংস্থার।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৬ সাল থেকে কারখানাটি চালু করা হয়। এলাকার কিছু লোক ওই কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু কারখানাটি যে বেআইনি তা বোঝা যায়নি। এ ভাবে পানীয় জল নিয়ে যারা প্রতারণা করে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে দাবি স্থানীয়দের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy