Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

সাইকেল পাচারের হদিস হাবরায়

বাইক পাচারের পর এ বার খোঁজ মিলল সাইকেল পাচার চক্রের।সম্প্রতি হাবরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রকাশ্য দিনের বেলায় বেশ কিছু সাইকেল চুরি হয়। ওই চুরির তদন্তে নেমে পুলিশ হদিস পায় একটি সাইকেল পাচার চক্রের। শনিবার ভোর রাতে হাবরা থানার পুলিশ ওই চক্রের পাণ্ডাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবরা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০৬
Share: Save:

বাইক পাচারের পর এ বার খোঁজ মিলল সাইকেল পাচার চক্রের।

সম্প্রতি হাবরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রকাশ্য দিনের বেলায় বেশ কিছু সাইকেল চুরি হয়। ওই চুরির তদন্তে নেমে পুলিশ হদিস পায় একটি সাইকেল পাচার চক্রের। শনিবার ভোর রাতে হাবরা থানার পুলিশ ওই চক্রের পাণ্ডাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম এশাদুল সর্দার। তার বাড়ি স্বরূপনগরের গোবিন্দপুরে। রবিবার তাকে বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এশাদুল এবং তার এক সঙ্গী মিলে হাবর-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাইকেল চুরি করে। তার সাগরেদের বাড়ি আমডাঙায়। তারা সকালে হাবরায় চলে আসত। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রথমে দেখতে কে কোথায় সাইকেল রেখে কাজে যাচ্ছেন। সেই মতো সুযোগ বুঝে সাইকেল চুরি করত।

এরপর ওই চুরি করা সাইকেলগুলি হাবরা স্টেশনে সাইকেল রাখার স্ট্যাণ্ডে রেখে দিত এশাদুলরা। পরে স্বরূপনগরের বাসিন্দা এক পাচারকারী এসে সেখান থেকে স্লিপ দেখিয়ে সাইকেল নিয়ে যেত।

তারপর ওই সাইকেল স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ পাচার হত। হাবরা থানার আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাইকেলের মান অনুসারে এশাদুলরা ২০০ থেকে ১০০০ টাকা পেত সাইকেল প্রতি। চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ ধৃত চারটি সাইকেল চুরির কথা স্বীকার করেছে।

এতদিন বনগাঁ ও বসিরহাটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে মোটরবাইক পাচার হত। কিন্তু সাইকেল পাচারের এই প্রথম হদিস মিলল। পুলিশের অনুমান, বাইক পাচার বন্ধ করতে পুলিশ ও বিএসএফ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। কেউ সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করলে সন্দেহ করা হয় না। ফলে সাইকেল পারাপার সহজ।

অন্য বিষয়গুলি:

Police Force Bicycle trafficking
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE