নিজস্ব চিত্র
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝিকে দু’টি গুলি করা হয়। তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কোপানো হয় ধারাল অস্ত্র দিয়ে। বাকি দু’জনের মধ্যে এক জনকে একটি গুলি করা হয়। তৃতীয় জনকে শুধুই হাঁসুয়া গিয়ে কোপানো হয়েছে। তিন নিহতের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই তথ্যই উঠে এল। তিন জনকে গুলি করে কুপিয়ে খুনের ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। খুনে জড়িতরা এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে নিহতদের পরিবারে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রামে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।
নিহত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝির পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই ছ’জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্বপনের দাদা মধু মাঝির দায়ের করা অভিযোগে উঠে এসেছে রফিকুল সর্দার, জালালউদ্দিন আখন্দ, বসির শেখ, বাপি মণ্ডল, এবায়দুল্লাহ মণ্ডল ও আলি হোসেন লস্কর। তৃণমূল নেতা খুনের পরেই তাঁর পরিবার দাবি করেছিল, রফিকুলের সঙ্গে পুরনো শত্রুতার কারণে খুন হতে হয়েছে স্বপনকে। আর স্বপনের সঙ্গে থাকার কারণে খুন হতে হয়েছে ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ মণ্ডলকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এখন পর্ষন্ত যে ছ’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ, তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলাও রয়েছেন। তদন্তকারীদের অনুমান, খুনে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই অপরাধীদের খোঁজে ক্যানিং, জয়নগর, কুলতলী, বাসন্তী-সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার সকালেই তিন জনের দেহ গ্রামে নিয়ে আসা হয়। নিহতদের বাড়িতে ভিড় জমান এলাকার মানুষেরা। পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ওই তিন জনের সৎকার করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জানানো হয়েছে, স্বপনকে দু’টি গুলি করা হয়। তার পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। ভূতনাথের শরীরে মেলে একটি গুলি চিহ্ন। কিন্তু ঝন্টু হালদারের শরীরে কোনও গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শুধু মাত্র অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েই তাঁকে খুন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy