শান্তনু ব্যাধ নামে নরেন্দ্রপুর থানার এক সাব-ইনস্পেক্টর জখম হয়েছেন। — প্রতীকী চিত্র।
অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানার গড়িয়ার আর্যপুর এলাকার ঘটনা। বুধবার গভীর রাতে ওইএলাকায় একটি বাড়িতে পুলিশ গেলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় শান্তনু ব্যাধ নামে নরেন্দ্রপুর থানার এক সাব-ইনস্পেক্টর জখম হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০২২ সালে আর্যপুর এলাকার বাসিন্দা নীলরতন পাল ও তাঁর দুই ছেলে শ্যামল পাল ও সৌম্য পালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল নীলরতন ও তাঁর দুই ছেলেকে। পরে জামিনে ছাড়া পান তাঁরা। কিন্তু আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বেরোয়। এর পরেই বুধবার রাতে এসআই শান্তনু-সহ নরেন্দ্রপুর থানার কয়েক জন পুলিশকর্মী নীলরতনদের বাড়িতে যান। অভিযোগ, সেই সময়েই পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি, পুলিশের উপরে হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন শান্তনু। বাকি পুলিশকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি এই প্রসঙ্গে বলেন, “তিন অভিযুক্তকে ধরতে চার পুলিশকর্মী গিয়েছিলেন। সেই সময়ে পুলিশের উপরে আক্রমণ হয়। এক পুলিশকর্মী অল্প জখম হয়েছেন। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, পুলিশই সাদা পোশাকে গিয়ে মারধর করে। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। ওই পরিবারের এক সদস্য ছায়া পাল বলেন, “মাঝরাতে সাধারণ পোশাকে কিছু লোক এসে দরজা খুলতে বলে। না খোলায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। প্রথমে বুঝতেই পারিনি, ওরা পুলিশ। আমার ছেলেদের মারধর করে। বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সিসি ক্যামেরার তার কেটে দেয়। আমরা কাউকে কিছু করিনি।” অভিযুক্তদের মারধরের অভিযোগ মানেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy