এখনও ভরসা বাঁশের সাঁকো। ছবি: দিলীপ নস্কর।
কাঠের সাঁকোর কাঠ খুলতে শুরু করেছে। পা গলে গিয়ে যে কোনও সময়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। যে কোনও নির্বাচন এলেই সব রাজনৈতিক নেতারা নতুন কংক্রিটের সেতু তৈরির আশ্বাস দেন। কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে সেই আশ্বাস বাস্তব হয়ে ওঠে না। গত মার্চ মাসে ফলতা ব্লকের গোপালপুর এলাকায় ওই সাঁকোর বদলে সেতু তৈরির কাজের শিল্যান্যাস হয়েছে। কিন্তু বর্ষা এসে গেলেও এখনও কাজ শুরু হয়নি
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক বছর আগে প্রায় ৯০ ফুট চওড়া কাঁটাখালি খাল পারাপারের জন্য বাঁশের সাকো ছিল। বছর কুড়ি আগে স্থানীয় বাসিন্দা এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় কাঠের বিমের উপর পাটাতন দিয়ে নতুন করে সাঁকোটি তৈরি হয়। কিন্তু সেই শেষ। তার পর থেকে সাঁকোটির সংস্কার হয়নি সাঁকোর দু’ধারে কোনও রেলিং নেই। পাটাতন উঠে গিয়েছে। নীচের কয়েকটি কাঠের খুঁটি ভেঙে গিয়েছে। কয়েক জন একসঙ্গে হেঁটে গেলেই সাঁকো টলমল করে। বিপজ্জনক ওই সাঁকোতে কোনও আলোও নেই। সন্ধ্যা নামলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে প্রাণ হাতে করে ওই সাঁকো পার হতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফলতা ব্লকের গোপালপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ওই সাঁকো ব্যবহার করেন রুখিয়া, দোনাবাগান, জামিরা, ত্রিপুরাপুর, জয়পুর-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। এছাড়াও এলাকার ৬-৭টি স্কুলের পড়ুয়ারা নিয়মিত ওই সাঁকো ব্যবহার করেন। সাঁকোর পাশে সোমবার এবং শুক্রবার বাজার বসে। সেখানে কয়েকশো মানুষ কেনাকাটা করতে আসেন। ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতাল কিংবা ফলতা গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে হলেও ভরসা এই কাঠের সেতু।
স্থানীয় বাসিন্দা হান্নান মল্লিক, মোকলেশ গায়েনদের ক্ষোভ, বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার মানুষ ভাঙা সাঁকো দিয়েই নিত্য পারাপার হচ্ছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি। অন্য নির্বাচনের মতো গত বিধানসভা নির্বাচনেও সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ওই সাঁকোর বদলে কংক্রীটের সেতু করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। স্থানীয় বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ মার্চ মাসে সেতুর শিলান্যাস করার পরে এলাকাবাসীর মনে আশা জাগে। কিন্তু বর্ষা এসে গেলেও কাজ শুরু না হওয়ায় তাঁদের ক্ষোভ বাড়ছে।
ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘সাঁকোটি কংক্রিটের করার জন্য ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy