ভেঙেছে রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
রাস্তায় আটকে গিয়ে ইছামতীর জল ঢুকতে পারেনি গ্রামে। কিন্তু আমপানে রাস্তাটি পুরো ভেঙে গিয়েছে। নদী ছাপিয়ে ভাসবে না তো গ্রাম, এই আতঙ্কে রয়েছেন বসিরহাটের ইটিন্ডা-পানিতর গ্রামের মানুষ।
শান্ত ইছামতীর দিকে তাকিয়ে আসমা বিবি, জোহরা বিবিরা বলেন, ‘‘দিন কয়েক পরেই অমাবস্যার ভরা কোটালে ইছামতীর জল বাড়বে। প্রায় প্রতিদিন আকাশ কালো করে টুপটাপ বৃষ্টি হচ্ছে। ফের নদী ছাপিয়ে নোনা জল ঢুকে সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে না তো, সেই ভয়ে বুক দুরদুর করছে।’’
বসিরহাট ১ ব্লকের ইটিন্ডা-পানিতর পঞ্চায়েত। দেশের শেষ সীমান্ত পানিতর গ্রামের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে গাছা-আখাড়পুর পঞ্চায়েত। সেচ দফতর থেকে পানিতরে বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। সেখানে জলের তোড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে কংক্রিটের রাস্তা। আমপানের রাতে ওই ভাঙা রাস্তার কংক্রিটের স্ল্যাব বাঁধ বাঁচিয়ে রক্ষা করেছিল ইটিন্ডা এলাকার মানুষকে।
পঞ্চায়েতের সদস্য তপন পাল বলেন, ‘‘ঝড়ের দাপটে ইছামতী নদীর বাঁধ ভেঙে পানিতর, ইটিন্ডা, আখাড়পুর-সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষকে ভাসতে হয়েছিল ঠিকই, তবে কংক্রিটের ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি ভেঙে গিয়ে বাঁধ রক্ষাও করেছিল। তাই তো বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় এলাকার মানুষ।’’
গত দু’বছর ধরে পানিতর থেকে ইটিন্ডার মধ্যে ইছামতী নদী বাঁধের উপর কংক্রিটের তিন কিলোমিটার রাস্তা করা হয়। ভাঙাচোরা ওই রাস্তার উপরে বসে ইয়ার আলি, ফজের মণ্ডল, কালাম গাজি মণ্ডল, আয়েশা বিবিরা বলেন, ‘‘একশো দিনের প্রকল্পে গ্রামের মানুষকে নিয়ে ভেঙে যাওয়া স্ল্যাবের তলায় ইট দিয়ে আপাতত বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে।’’ বিডিও তাপস কুণ্ডু জানালেন, বাঁধ মেরামত শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, অমাস্যার ভরা কোটালের আগে শেষ হয়ে যাবে কাজ। বাঁধের কাজ শেষ হলে রাস্তা মেরামত করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy