যে কোনও সময়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ছবি: শান্তনু হালদার।
হাবরার তীব্র যানজট কাটিয়ে বারাসতের দিকে যাওয়ার সময়ে অশোকনগরে ফের আটকে যায় গাড়ি। এই শহরে যশোর রোডের উপরে রেলগেট থাকায় যান চালকদের আটকে থাকতে হয় দীর্ঘক্ষণ।
যশোর রোড সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। বারাসত থেকে বনগাঁ পর্যন্ত যশোর রোড সম্প্রসারণের সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনা রূপায়ণের নকশা তৈরি করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, যশোর রোড সম্প্রসারণের অঙ্গ হিসাবে অশোকনগরে একটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ (আরওবি) তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত উড়ালপুলটি প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১২ মিটার চওড়া হওয়ার কথা। উড়ালপুলটি স্থানীয় নবারুণ সঙ্ঘের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিল্ডিং মোড়ে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা। উড়ালপুলের নীচের রাস্তাটিও চওড়া করা হবে। উড়ালপুলের সঙ্গে থাকবে দু’টি সার্ভিস রোড, সাবওয়ে এবং নিকাশি নালা।
তবে উড়ালপুল তৈরির পরেও যানজট কতটা কমবে সেই নিয়ে সন্দিহান স্থানীয়রা। শুধু রেলগেট নয়, অশোকনগর এলাকায় যশোর রোডে আরও সমস্যা রয়েছে। এই রাস্তায় ফুটপাত বলে কিছু নেই। রাস্তা জবরদখল করে রয়েছে দোকান। দু’টি গাড়ি মুখোমুখি হয়ে গেলেই সমস্যা। অতীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যশোর রোড চওড়া করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। রেলগেট এলাকায় সরকারি জমি দখল করে কয়েক’শো দোকানঘর হয়েছে। রেলগেট পড়ে গেলে দশ থেকে পনেরো মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। সবথেকে খারাপ অবস্থা হয় বিকেলবেলা। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, অশোকনগরে উড়ালপুল তৈরির জন্য গত জানুয়ারি মাসে জমি চিহ্নিত ও নকশা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। তার আগে হয়েছে মাটি পরীক্ষার কাজ। তবে উচ্ছেদ, ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসনের বিষয়গুলি এখনও পুরোপুরি ঠিক হয়নি। সেই প্রক্রিয়াগুলি মিটিয়েই কাজ শুরু হবে বলে প্রশাসনের কর্তারা জানান। স্থানীয় বিধায়ক ধীমান রায় বলেন, ‘‘রাস্তা সম্প্রসারণ হলে উপকার হবে। ক্ষতিগ্রস্তরা জমি ছাড়তে রাজি। সরকার পুনর্বাসন দেবে।’’ উড়ালপুলের জন্য জবরদখল হয়ে থাকা দোকানপাট সরাতে হবে। অশোকনগরের সরকারি জমিতে ইলেকট্রিকের দোকান মালিক সুবল সাহা বলেন, ‘‘যশোর রোডের সম্প্রসারণ চাই। তবে যতটা কম উচ্ছেদ হয় ততই ভাল।’’ বিল্ডিং মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুখরঞ্জন বণিকের দাবি, জমি চওড়া হোক। আগে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের বিষয়টি ভাবা উচিত। তৃণমূল পরিচালিত অশোকনগর-কল্যাণগড়ের পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার জানান, ‘‘উড়ালপুল তৈরির জন্য প্রায় তিনশো দোকান মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সেই দোকানগুলির ৯০ শতাংশ সরকারি জমিতে আছে। ওই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy