ছবি সংগৃহীত।
জেলা হাসপাতালের মধ্যেই গজিয়েছিল ক্ষতিকর পার্থেনিয়ামের ঝোপ। বারাসত জেলা হাসপাতালের এমন হাল জানতে পেরে বিস্মিত হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যানকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশও দেন। এর পরেই হাসপাতাল চত্বরের পার্থেনিয়ামের ঝোপ কেটে সাফ করে ফেলল বারাসত পুরসভা। এখন থেকে প্রতিদিন হাসপাতালে চত্বরের আবর্জনা সরাবার ভারও নিল পুরসভা।
এই হাসপাতালটিতে বারাসত ছাড়াও বিধাননগর, ব্যারাকপুর, বনগাঁ ও বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসার জন্য আসেন। শুধু তাই নয়, ওই সব এলাকার হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রতি দিনই রোগী স্থানান্তর করা হয় এই হাসপাতালেই। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি হাসপাতালের বিশাল চত্বরে ইতিউতি গজিয়েছিল পার্থেনিয়ামের ঝোপ। আগাছা ভরা জঙ্গলের মধ্যে পড়ে থাকত আবর্জনাও।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এমনিতেই পার্থেনিয়াম বায়ু দূষণ ছড়ায়। এই গাছের দূষণে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগও হয়। তা ছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে পার্থেনিয়াম অন্য রোগের প্রকোপ আরও বাড়িয়ে তোলে। সেই গাছই দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছে বারাসত হাসপাতালে। সম্প্রতি ব্যারাকপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়কে অবিলম্বে পার্থেনিয়াম কেটে ফেলার নির্দেশ দেন। এর পরেই নড়েচড়ে বসে পুরসভা। পরিষ্কার করা হয় হাসপাতাল চত্বরও।
পুরসভা সূত্রে খবর, হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে পার্থেনিয়াম গাছ কেটে ফেলা ছাড়াও সমস্ত আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করা হবে। সুনীলবাবু বলেন, ‘‘হাসপাতাল চত্বরে পার্থেনিয়াম বা অন্য আগাছা আর নেই। হাসপাতালের আশপাশের আবর্জনাও এখন থেকে পুরসভাই পরিষ্কার করবে।’’ তবে হাসপাতাল চত্বর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব পূর্ত দফতরের। তার বদলে পুরসভার ঘাড়ে সেই দায়িত্ব আসায় তা নিয়ে চাপানউতোরও শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে চিরঞ্জিত বলেন, ‘‘পার্থেনিয়াম এমনিতেই হাঁপানির মতো রোগ ছড়ায়। তার পরে হাসপাতালের মতো জায়গাতেই যদি সেই গাছ থাকে, তাহলে তা ভয়ঙ্কর। সেটাই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। তাঁর নির্দেশে পুরসভা কাজ করেছে।’’ তবে কেটে ফেলার পরেও পার্থেনিয়াম বারবার গজিয়ে ওঠে। তাই মাঝেমধ্যেই তা দেখভালের প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিরঞ্জিত। হাসপাতালে নিয়মিত দেখভাল ও পরিষ্কার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সুনীলবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy