তাড়াহুড়ো: নির্দেশের পরেও বন্ধ হয়নি কাজ।— নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় পর্যটনের উন্নয়ন খতিয়ে দেখার জন্য কয়েক মাস আগে হেনরি আইল্যান্ড ঘুরে দেখেছিলেন পরিবেশমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। ঘোষণা করেছিলেন, বকখালি এবং হেনরি আইল্যান্ড ঘিরে একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের। সেই মতো পর্যটন দফতর সেই কাজে হাত দিতেই বাধা পড়েছে বন দফতর থেকে। সমুদ্র সৈকতের উপরে নির্মাণ বন্ধের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে বন দফতর। যদিও তারপরেও কাজ ঢিমেতালে এগোচ্ছে বলে দেখা গিয়েছে।
রাজ্য বন সংরক্ষণ আইন অনুসারে, বন দফতরের কোনও জায়গায় সরকারি প্রকল্প করতে হলেও সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি প্রয়োজন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বনাধিকারিক তৃপ্তি সাহা বলেন, ‘‘বন দফতরে জমিতে নির্মাণের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি পদ্ধতি মেনে ছাড়পত্র নিতে হয়। হেনরি আইল্যান্ডের ওই প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ছাড়পত্র নিয়ে সেই প্রকল্প আবার চালু হতেই পারে।’’ কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সরকারি দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের দিকটি প্রকট হয়েছে।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে পর্যটন দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা নতুন করে অনুমোদন নিয়ে এই কাজ ফের শুরু করবেন।
হেনরি আইল্যান্ডে দিন দিন ভিড় বাড়ছে। কিন্তু সমুদ্র সৈকতে বিশেষ পরিষেবা নেই। হেনরি আইল্যান্ডে শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা, দ্বিতীয় একটি ওয়াচ টাওয়ার, সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত যাওয়ার জন্য প্রায় সাড়ে তিনশো মিটারের একটি কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করার কথা ছিল। বন দফতরের জমিতেই কাজ শুরু করেছিল পর্যটন দফতর। কিন্তু হঠাৎই বন দফতর পর্যটনকর্তাদের চিঠি দিয়ে তা বন্ধ রাখতে বলেছেন।
একে তো হেনরি আইল্যান্ডে নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তর গাফিলতি আছে। কয়েক মাস আগে বাবা-মেয়ে-সহ তিন জনের মৃত্যুতে নড়ে বসেছিল প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও বিশেষ উদ্যোগ চোখে পড়েনি। তার উপরে পরিষেবাও পর্যটকদের মতোমত নয়। হেনরি আইল্যান্ড সপরিবার বেড়াতে আসা হাওড়ার বাসিন্দা অসীম দন্ডপাট জানালেন, পানীয় জল আনতে প্রায় ৮০০ মিটার দূরে হেনরি আইল্যান্ডের বর্তমান ওয়াচ টাওয়ারের কাছে আসতে হয়েছিল তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy