—প্রতীকী ছবি।
সকালে অনেক ডাকাডাকির পরেও ঘুম থেকে ওঠেননি মা-মেয়ে। এর পরে পরিবারের সদস্যেরা দরজা খুলে দেখেন, দু’জনেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে বৃদ্ধা মাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁর মেয়ে। শনিবার, কাঁচরাপাড়ার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙাপাড়া এলাকার এই ঘটনায় পাড়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম রাধারানি প্রসাদ (৭০)। দু’জনেই সম্ভবত বিষ খেয়েছিলেন বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও প্রতিবেশীদের কারও কারও দাবি, মাকে বিষ খাইয়ে মেরে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন মেয়ে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মা রাধারানির সঙ্গেই এক ঘরে থাকতেন তাঁর মেয়ে। পাশেই থাকতেন তাঁর ভাইয়েরা। তবে ভাইদের সঙ্গে কোনও বিষয়ে তাঁর মতান্তর ছিল। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন পরিবারের বাকি সদস্যেরা। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘরে রাধারানির পাশেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পড়ে ছিলেন তাঁর মেয়েও। তা নজরে পড়তে তাঁকেও ভর্তি করানো হয় কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে মা-মেয়ের মধ্যে গোলমাল চললেও শুক্রবার কোনও ঝামেলা হয়নি। অন্য দিনের মতোই খাওয়াদাওয়া করে তাঁরা শুয়েছিলেন। কিন্তু সকালে বেলা হয়ে গেলেও ঘুম থেকে না ওঠায় আমরা ডাকাডাকি শুরু করি।’’
প্রতিবেশী নীলম সিংহ জানান, নিয়মিত ওই বাড়িতে তাঁর যাতায়াত ছিল। তবে গত কয়েক দিন ধরে কোনও বিষয়ে মা-মেয়ের মতান্তর চলছিল। এর ফলে ওই বৃদ্ধাকে তাঁর মেয়ে মারধর করেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। নীলম জানান, এ দিন সকালে খবর পেয়ে ঘরে এসে তিনি দেখেন, বিছানায় পড়ে আছেন বৃদ্ধা। আর নীচে পড়ে তাঁর মেয়ে। সম্ভবত বিষ জাতীয় কিছু বা কোনও ওষুধ খাইয়ে ওই বৃদ্ধাকে মেরে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করছেন প্রতিবেশীরা।তবে সেই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। যদিও এমন কিছু আদৌ ঘটেছে কি না, সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও অন্ধকারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy