প্রতীকী ছবি।
অবসরের পরে বাড়ি তৈরির কাজে হাত দিয়েছিলেন। ক্যানিংয়ে নির্মীয়মাণ সেই বাড়ি থেকে রবিবার সকালে উদ্ধার হল পরিবহণ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সুশান্তকুমার সেনের (৬২) ঝুলন্ত দেহ। পকেটে মিলল সুইসাইড নোট। ক্যানিং থানার আধিকারিকের উদ্দেশে লেখা সেই সুইসাইড নোটে এক প্রমোটারের বিরুদ্ধে হুমকি ও মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সুশান্ত। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই প্রমোটারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি সুশান্তের পরিবার। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ক্যানিংয়ের বাসিন্দা হলেও পরিবার নিয়ে সোনারপুর থানা এলাকার হরিনাভিতে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সুশান্ত। অবসরের পরে ক্যানিংয়ের হেড়োভাঙা মহেন্দ্রমোড় এলাকায় বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। মাস কয়েক আগে সেই বাড়ি তৈরির জন্য হরিনাভির এক প্রমোটারকে বরাত দিয়েছিলেন। প্রায় ২০ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল দু’জনের মধ্যে।
ছাদ ঢালাইয়ের পর থেকে প্রমোটারের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় সুশান্তর। মৃতের পরিবার সূত্রের খবর, ৯১ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে ওই প্রোমোটারের। সুইসাইড মোটে সুশান্ত লিখে গিয়েছেন, টাকা আদায়ের জন্য ওই প্রমোটার হেনস্থা করছিলেন, খুনের চক্রান্ত করেছিলেন। মৃতের পরিবারের দাবি, চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত।
তাঁর ভাই হেমন্ত বলেন, “বাড়ি তৈরি নিয়ে প্রমোটারের সঙ্গে দাদার বিবাদ চলছিল। দাদাকে নানা ভাবে হুমকি দিয়েছিল ওই প্রমোটার।” অভিযুক্ত প্রমোটারের কথায়, “আমি যখন সাড়ে পাঁচ-ছয় লক্ষ টাকা পেতাম, তখন উনি (সুশান্ত) আত্মহত্যা করলেন না। আর যখন ৯১ হাজার টাকা পাব, তখন সুইসাইড করলেন? এটা আমাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত হচ্ছে। আসলে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে ওঁর অশান্তি চলছিল। সে কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন।’’ তবে অভিযুক্ত জানাচ্ছেন, চেক বাউন্স হওয়ায় সুশান্তকে কটূ কথা বলেছিলেন। কারণ, তাঁকেও মহাজনের কাছে এ নিয়ে অপমানিত হতে হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy