শনিবার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জে সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। —নিজস্ব চিত্র।
সদ্যোজাত ছেলে ঈশানই যে তাঁর জগৎ জুড়ে রয়েছে, এমন নয়। ঈশানের পাশাপাশি, নিজের লোকসভা কেন্দ্র বসিরহাটের বাসিন্দারাও তাঁর পরিবারের অংশ। মা হওয়ার পর এই প্রথম নিজের লোকসভা কেন্দ্র বসিরহাটে পা রেখে এমন ‘বার্তা’ই দিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। জানালেন, ঈশানের সঙ্গে বসিরহাটের মানুষজনের দেখাশোনা করাও তাঁর দায়িত্ব।
শনিবার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জে আসেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত। বসিরহাটের সাংসদ হওয়ায় নিয়মানুযায়ী তিনি হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সদস্য। শনিবার, গাঁধী জয়ন্তীতে এই কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতির দায়িত্বভার হাতে নেন নুসরত। হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে পৌঁছে মহাত্মা গাঁধীর ছবিতে মাল্যদান করার পর বাচ্চাদের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন। আসন্ন দুর্গাপুজোর জন্য তাদের পোশাকও উপহার দেন। হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পর কলেজের একটি বৈঠকেও যোগদান করেন। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নুসরত বলেন, ‘‘আমার পরিবার অনেক বড়। শুধু ঈশানকে দেখলে তো হবে না। এখানকার মানুষজনও আমার পরিবার।’’
বস্তুত, ২৬ অগস্ট ঈশানের জন্মের পর একাধিক অনুষ্ঠানে দেখা গেলেও মা হওয়ার পর বসিরহাটে এই প্রথম এলেন নুসরত। তবে সে জন্য তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের কাজ আটকে থাকেনি বলেই দাবি সাংসদের। নুসরতের কথায়, ‘‘মা হওয়ার পর ছ’সপ্তাহও বিশ্রাম নিইনি। তার আগেই কাজে বেরিয়েছি। তবে আমার গোটা টিম এখানে (বসিরহাটে) কাজ করেছে। এখানে আমার আসার থেকেও মানুষের কাজ হওয়াটা বেশি জরুরি।’’
সংসারের যাবতীয় কাজ সামলে সাংসদের দায়িত্বও সমান তালে সামলাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নুসরত। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘সংসার এবং বাচ্চা, দুটোই সামলাতে হয়। আমার মনে হয়, মহিলারা একসঙ্গে অনেক কাজ সামলাতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy