মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভার উপনির্বাচন পর্ব মিটে গেলেই পুরভোট নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করবে রাজ্য সরকার। শনিবার নবান্নে সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘উপনির্বাচন হয়ে গেলে আমাদের রাজ্যেও কিছু নির্বাচন বাকি রয়েছে। সেগুলিও আমাদের করতে হবে।’’ তার পরেই প্রশাসনিক তথা রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্যের পুরভোট নিয়ে। কারণ রাজ্যের প্রায় ১১৭টি পুরসভার নির্বাচন বকেয়া রয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা ও বিধাননগরের মতো পুরসভাও। ২০২০ সালে ভোট করানোর কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের জেরে পুরভোট শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
মার্চ-এপ্রিল-মে মাস জুড়ে রাজ্যে বিধানসভা ভোট হলেও, পুরভোট করা যায়নি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের উপনির্বাচনের সঙ্গে ভোট হয়েছে জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জে। ভবানীপুরে আবার প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক থেকে প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজ্যের আরও চারটি কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন হবে। আগামী ৩০ অক্টোবর খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটা ও শান্তিপুরে উপনির্বাচন। তাই সেই নির্বাচনপর্ব মিটে গেলেই রাজ্য সরকার যে পুরভোট করাতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা ২ নভেম্বর। প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন, নভেম্বর মাসে পুরভোট সম্ভব নয়। কারণ, উপনির্বাচন শেষ হলেই রাজ্যে কালীপুজো-সহ দিপাবলি উৎসব এবং ভাইফোঁটা। এর পরেই রয়েছে ছট পরব। তার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জগদ্ধাত্রী পুজো-সহ রাস উৎসব হবে। তাই কোনও ভাবেই নভেম্বর মাসে পুরভোট সম্ভব হবে না। সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে, নভেম্বর মাস কেটে গেলে শীতের সময়েই কমিশনকে ভোট করানোর বিষয়ে সবুজ সংকেত দিতে পারে নবান্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy