মোটরবাইকে চেপে এলাকায় ঢুকে চক্কর দিচ্ছিল চার-পাঁচ জন বহিরাগত দুষ্কৃতী। আচমকাই তারা একটি বাচ্চা ছেলেকে মারধর করতে শুরু করে। এলাকা সূত্রের খবর, স্থানীয় কয়েক জন সেই দৃশ্য দেখে এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করতেই বচসা বেধে যায়। তখনই আচমকা ওই দুষ্কৃতীদের এক জন গুলি চালায়। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সেই গুলি লাগে অন্য এক দুষ্কৃতীরই পায়ে। এর পরেই তারা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে টিটাগড়ের জি সি রোডের ছাই মহল্লায়।

এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার মহম্মদ আরবাজ এবং দুলারা ওরফে নাদিম আহমেদকে গ্রেফতার করেছে রহড়া থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জেনেছেন, গুলি চালিয়েছিল আরবাজ। তবে, শেখ ইউসুফ নামে যার পায়ে গুলি লেগেছে বলে স্থানীয়েরা দাবি করেছেন, এখনও তার খোঁজ মেলেনি বলেই দাবি পুলিশের। ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া বলেন, “কী কারণে গুলি চালানো হয়েছিল, তা ধৃতদের জিজ্ঞাসা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত, তা-ও দেখা হচ্ছে।”

স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মহম্মদ আরবাজ-সহ জনা চারেক বহিরাগত দুষ্কৃতী দু’টি মোটরবাইকে করে এলাকায় আসে। প্রত্যেকেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, আচমকাই একটি বাচ্চা ছেলের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে আরবাজেরা। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ এহসান আলি ওরফে ববির দাবি, “বাচ্চাটিকে চড় মারতে দেখে এলাকার লোকজন এগিয়ে যান। দু’পক্ষের ঝামেলা শুরু হওয়ায় আমি এগিয়ে গিয়ে আরবাজকে জিজ্ঞাসা করি, কেন বাচ্চাটিকে মারধর করা হচ্ছে। তখনই ওই দুষ্কৃতী আচমকা আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে।”

ওই যুবকের দাবি, তিনি আরবাজকে ধাক্কা দিতেই গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ইউসুফের পায়ে গিয়ে লাগে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় রহড়া ও খড়দহ থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে একটি গুলির খোল।

অন্য দিকে, পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, ববির সঙ্গেই গণ্ডগোল বাধে আরবাজের। সেই সমস্যা মেটাতেই দলবল নিয়ে ছাই মহল্লায় এসেছিল সে। দু’পক্ষের তর্কাতর্কির সময়েই আরবাজ পকেট থেকে বন্দুক বার করে গুলি চালায়।