প্রতীকী ছবি।
পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু কিছু দিন আগে সে তার এক বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলে। আর সেই সূত্র ধরেই এক নাবালিকাকে অপহরণের ঘটনায় ওই যুবককে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতের নাম শেখ ইরফান। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। গত বৃহস্পতিবার ওড়িশার কটক সদর থানার ব্রাহ্মণঝিরাল বস্তি থেকে ইরফানকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়। অপহৃত নাবালিকাকে কটকের ওই বস্তি থেকে উদ্ধার করে তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে।
সিআইডি জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ২৮ জুন জগদ্দলের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ১৫ বছরের ওই কিশোরী। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় থানা অপহরণের মামলা রুজু করে। কিন্তু অভিযোগ, আড়াই বছরেও খোঁজ মেলেনি নাবালিকার। এর পরেই পুলিশি ‘নিষ্ক্রিয়তার’ বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে গত মার্চে হাই কোর্ট সিআইডি-কে নির্দেশ দেয় ওই নাবালিকাকে খুঁজে বার করার জন্য।
সিআইডি সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ মতো এপ্রিলে মানবপাচার রোধ বিভাগের (অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং) তদন্তকারীদের নিয়ে একটি বিশেষ দল গড়া হয়। তদন্তে নেমে জানা যায়, ওই নাবালিকার সঙ্গে এক যুবকও নিখোঁজ রয়েছে। কিন্তু সে তার পরিবারের সঙ্গে বা এলাকায় যোগাযোগ রাখছে না। এক তদন্তকারী জানান, এর পরে অভিযুক্তের সম্ভাব্য বিভিন্ন পরিচিতদের উপরে নজরদারি শুরু করা হয়। সেই সূত্রে তদন্ত চালিয়ে চলতি মাসের শুরুতে দেখা যায়, এক বন্ধুর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরে যোগাযোগ করেছে ইরফান। আরও জানা যায়, সে রয়েছে কটকে। এর পরেই সেখানে হানা দেন গোয়েন্দারা। এত দিন ধরে ব্রাহ্মণঝিরাল এলাকায় একটি মাংসের দোকানে কাজ করছিল ইরফান।
তদন্তকারীরা জানান, তাকে জোর করে ইরফান তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওই কিশোরীর। কলকাতায় এনে তাকেও আদালতে তোলা হলে সে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, মামলার পরবর্তী শুনানির দিন কলকাতা হাই কোর্টকে নাবালিকা উদ্ধারের খবর জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy