—প্রতীকী চিত্র।
অবশেষে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের রোগীদের হাসপাতাল চত্বরে থাকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল সোমবার। এর ফলে আর কোনও রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।
এ দিন সকালে হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। তারপরেই মহকুমা হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অনুমতি নিয়ে আমরা এ দিন পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি সব রোগীকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি। এখন আর কোনও রোগীকে মেঝেতে শুয়ে থাকতে হবে না।’’
কিছু দিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর চাপে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডগুলিতে তিলধারণের জায়গা ছিল না। দু’টি ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ৮৫ হলেও রোগী ভর্তি থাকছিলেন আড়াইশো মতো। স্বাভাবিক ভাবেই এক শয্যায় দু’তিনজনকে রাখা হচ্ছিল। মেঝেতেও শুইয়ে রাখা হচ্ছিল অনেককে। ভিড় সামলাতে রোগীদের দ্রুত ছুটি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছিল।
পাশেই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। রোগীর আত্মীয় ও পরিজনেরা দাবি তোলেন, রোগীদের সেখানে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হোক। বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠও এই দাবি জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাটার্য ও জেলাশাসকের কাছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালটির উদ্বোধন হলেও সেখানে রোগী ভর্তি ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। শুধু বহির্বিভাগটি চালু আছে। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘ওখানে ১২০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিল ১১৫ জনের মতো।’’ নতুন ব্যবস্থা চালুর জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে ৮ জন নার্সকেও এ দিন পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy