এই বাগান থেকেই মিজানুরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
ভিডিয়ো কলে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে আত্মঘাতী। চার দিনের মাথায় উদ্ধার হল যুবকের দেহ। বাইপাস সংলগ্ন একটি বাগান থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঋণের দায়ে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সোনারপুরের বেনেচাঁদনি এলাকার ঘটনায় গত সোমবার ভিডিয়ো কলে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন মিজানুর রহমান (৩৫)। সেই অবস্থাতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। কিন্তু আত্মঘাতী হওয়ার সময় তিনি কোথা থেকে কথা বলচিলেন, তা জানা ছিল না পরিবারের কারও। তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশই শেষমেশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে জরিনা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয় মিজানুরের। তাঁদের এক কন্যাও রয়েছে। আগে দিন মজুরের কাজ করতেন মিজানুর। কিন্তু লকডাউনে কাজ চলে যায়। সংসার চালাতে তাই ছোট খাটো ব্যবসা করবেন বলে ঠিক করেন তিনি।
ব্যবসার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে মিজানুর ঋণ নিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কিন্তু ব্যবসা না জমায় কিস্তির টাকা মেটাতে পারছিলেন না মিজানুর। তার জন্য ওই সংস্থা থেকে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তাতে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সন্দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বাগানবাড়ি থেকে প্রথমে এক প্রতিবেশী বন্ধুকে ভিডিয়ো কল করেন মিজানুর৷ তার পর স্ত্রীকে ভিডিয়োকল করেন এবং কথা বলতে বলতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। তার পর পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু লাভ হয়নি। ভিডিয়ো কলে কথা বললেও, স্বামী কোথা থোকে কথা বলছেন, জরিনাও তা বুঝতে পারেননি। তাতে সোনারপুর থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। এর পরই বৃহস্পতিবার মিজানুরের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy