বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। নিজস্ব চিত্র
দিনটা রোববার। প্রচারে ব্যস্ততা তুঙ্গে প্রার্থীদের। গা ঘামালেন বসিরহাটের সব প্রার্থীই।
এ দিন দুপুরে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসের বাড়িতে ডাল, শুক্তো, ইলিশ, পমফ্রেট মাছ এবং দেশি মুরগির ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহান। সেখানে বলেন, ‘‘দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) বিভিন্ন প্রকল্পে মহিলাদের সম্মান দিয়েছেন। বসিরহাটের মানুষের পাশে থেকে আমি উন্নয়ন করতে চাই। ইছামতীর ধার সাজাতে চাই।’’ বসিরহাটের মধযমপুর-গুলাইচণ্ডী মাঠে নুসরত গান গেয়েও শোনান।
বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু গিয়েছিলেন সন্দেশখালির ধুচনেখালিতে। তাঁর অভিযোগ, সেখানে তৃণমূলের হুমকির জন্য বাজারের বেশির ভাগ দোকান বন্ধ ছিল। ভয়ে রাস্তায় লোক বেরোয়নি। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য আগে থেকে ভ্যান রিকশা ঠিক করা ছিল। সায়ন্তনের অভিযোগ, সেই চালকেরা জানিয়ে দেন, বিজেপি প্রার্থীকে গাড়িতে তুললে এলাকায় টিকতে পারবেন না।
বিজেপি প্রার্থীর কথায়, ‘‘কুশখালিতে ভ্যানচালকেরা থাকলেও সেখানেও দোকানদারেরা তৃণমূলের হুমকির ফলে দোকান বন্ধ রেখেছিলেন। আমার অনুরোধে পরে কয়েকজন দোকান খোলেন।’’ এই অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন বলে দাবি করেন তিনি। তবে অভিযোগ মিথ্যা বলে পাল্টা জানিয়েছেন দীপেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘স্থানীয় একজনের মৃত্যুতে বাজারের কিছু দোকান বন্ধ ছিল বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে।’’
এ দিন দই-চিঁড়ে খেয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুর রহিম দিলু। বিকেলে তিনি খোলাপোতার একটি প্রেক্ষাগৃহে দলের নেতা আব্দুস সাত্তারকে নিয়ে কর্মিসভা করেন।
মুড়ি-শশা খেয়ে হাসনাবাদে প্রচারে বেরোন সিপিআই প্রার্থী পল্লব সেনগুপ্ত। সেখানে ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ-খবর নেন। বিকেলে বসিরহাটের কলেজ এলাকা থেকে মিছিলে হাঁটেন প্রার্থী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy