Advertisement
২৬ জানুয়ারি ২০২৫

নিরাপদে কাজ করতে চাই, স্মারকলিপি বাম শিক্ষক সংগঠনের

গত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে মহকুমার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

নিজস্ব স‌‌ংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ০১:৫৯
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটের কাজে গিয়ে অনেকেরই অভিজ্ঞতা ভাল নয়। বহু রাজনৈতিক হিংসার সাক্ষী থাকতে হয়েছে কর্মীদের। অনেকেই এঁদের মধ্যে শিক্ষকতা করেন। লোকসভা ভোটে তাঁদের নিরাপত্তার দাবিতে সোমবার বনগাঁর বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের কিছু শিক্ষক প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এবিটিএ-র বনগাঁ মহকুমা শাখার তরফে বনগাঁর মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায়ের মাধ্যমে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। ছিলেন সংগঠনের বনগাঁ মহকুমার সভাপতি অশোক পাল, সম্পাদক প্রদীপ সরকার, সহ সম্পাদক পীযূষ সাহা।

পীযূষ জানান, গত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে মহকুমার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তাঁরা চান এ বার যেন নির্বাচন কমিশন ভোটকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। তাঁদের দাবি, ভোট শেষে ভোট কর্মীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিতে হবে।

মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভোটের দিন ভোট গ্রহণকেন্দ্রে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি কমিশন দিল্লি থেকে তা নজর রাখবেন।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি বুথেই সিসি ক্যামেরা, ওয়েব ক্যামেরা, মাইক্রো অবজার্ভার থাকছে।

কেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা?

এক শিক্ষক জানান, সকালে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা ছাড়া আর কারও দেখা নেই। বিরোধী দলের কোনও পোলিং এজেন্ট নেই। একটি দলের বাইক বাহিনী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে এক নেতা এসে সকলকে নির্দেশ দিয়ে যান, ‘দেখিস, মোট ভোটারের থেকে যেন বেশি ভোট না পড়ে!’

ওই শিক্ষক বলেন, ‘‘আমাদের বলা হয়েছিল, আপনাদের কোনও অসুবিধা হবে না। তবে চুপচাপ থাকবেন। বাধ্য হয়ে তেমনই ছিলাম। চোখের সামনে দেখলাম, অবাধে ছাপ্পা চলছে। তবে মোট ভোটারের ৯৫ শতাংশ ভোট হয়ে যাওয়ার পরে আর ওরা ছাপ্পা দেয়নি। আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। ভোট শেষে বাড়ি ফিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি।’’

স্মারকলিপিতে শিক্ষকদের তরফে জানানো হয়েছে, এ বার মহকুমার প্রায় এক হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে ভোটের কাজে নিয়োগ করেছে কমিশন। গত পঞ্চায়েত ভোটে রায়গঞ্জে শিক্ষক তথা প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়কে অপহরণ ও খুনের কথা তাঁরা ভুলতে পারেননি।

এক শিক্ষকের কথায়, ‘‘সরকারি চাকরি করি। ফলে ইচ্ছে না থাকলেও আমাদের ভোটের ডিউটিতে যেতে বাধ্য হই। এ বারও যাব। কিন্তু যেন অক্ষত অবস্থায় কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে পারি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy