অবরোধ: সামিল মহিলারা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
এলাকায় সরকারি অনুমোদিত মদের দোকান রয়েছে। সম্প্রতি রটে যায়, আরও একটি মদের দোকান খোলা হবে। বাসিন্দারা মদের দোকান না খোলার অনুরোধ করেছিলেন ব্যবসায়ীকে। দোকান চালুর আগে সোমবার পুজো দেন দোকান মালিক। তা দেখে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। রাস্তা অবরোধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ।
যার জেরে সোমবার বেলা ১টা নাগাদ গোপালনগর থানার গোপালনগর বাজার এলাকায় বনগাঁ-চাকদা সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যানজটে আটকে পড়েন অনেকে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
বেলা ২টো নাগাদ পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। বাস থেকে নেমে এক ব্যক্তি অবরোধ তুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে অবরোধকারীদের বচসা বাধে। আটকে পড়া আরও যাত্রী মুখ খোলেন। শেষমেশ অবরোধ ওঠে। বনগাঁর মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মানুষের আপত্তি থাকলে মদের দোকান খোলা যাবে না। আবগারি দফতরকে বলছি ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে।’’ মদের দোকান করা হচ্ছে না বলে দাবি ওই ব্যবসায়ীর।
অবরোধকারীদের দাবি, এ দিন তাঁরা দোকান বন্ধ করতে গেলে বহিরাগতদের নিয়ে এসে হুমকি দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। সে কথা অবশ্য মানেননি তিনি।
স্থানীয় মানুষ জনের আরও দাবি, দোকান বন্ধ করে চাবি যেন পুলিশ নিয়ে যায়। এলাকায় মদের দোকান চালু করা যাবে না, এ নিয়ে পুলিশকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বলেও দাবি ওঠে। পুলিশ দোকানের শাটার বন্ধ করে দিলেও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয়
আরতি মজুমদার, চৈতালি সাধুখাঁ, শিল্পী বৈদ্য, লেখা প্রামাণিকরা জানান, মদের দোকানটি পাকাপাকি ভাবে চালু হয়ে গেলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে। মদ্যপদের আনাগোনা বাড়বে। কয়েক জন মহিলা বলেন, ‘‘মদের দোকান চালু হলে আমাদের সংসারের উপরে তার প্রভাব পড়বে। স্বামীরা মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে অশান্তি করবেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া লাটে উঠবে।’’ প্রলয় মজুমদার, প্রবীর মজুমদারদের বক্তব্য, ‘‘ছোট ছেলেদের মনে এর কুপ্রভাব পড়তে পারে। মদের দোকান আমরা হতে দেব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy