বিপজ্জনক। ছবি: দিলীপ নস্কর
বছরখানেক আগে সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে দু’টো পা ভেঙেছিল আরফানের। এখনও একটি পা অচল। প্রতিবন্ধী ওই যুবকের কথায়, ‘‘পাকা সেতু করার জন্য আর ক’টা মানুষের ক্ষতি হবে কে জানে!’’
কুলপি ব্লকের নারায়ণপুর ও তারাচাঁদপুর— দুই গ্রামের সংযোগস্থলে ঝিকরা খাল। তার উপরে বেহাল সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
ওই ব্লকের কেওড়াতলা পঞ্চায়েত এলাকার ঝিকরা খালের উপরে প্রায় দেড়শো ফুট লম্বা সেতুটি দিয়ে বহু বছর ধরে পারাপার চলছে। আগে বাঁশের সাঁকো থাকলেও পরে ব্লক প্রশাসন ও সেচ দফতর থেকে কাঠের সাঁকো তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তা দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় অবস্থা খারাপ। দু’দিকের রেলিং নেই। এক দিকের কাঠের পাতাতন উঠে গিয়েছিল। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামবাসীরা চাঁদার টাকায় বাঁশ কিনে তালিতাপ্পি দিয়েছে। সাঁকোর উপরে আলোর ব্যবস্থাও নেই। অথচ ওই সেতু দিয়ে নিয়মিত পারাপার করেন কেওড়াতলা পঞ্চায়েত, বাবুরমহল, নেতাজী পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। এলাকায় রয়েছে তিনটি হাইস্কুল, বেশ কয়েক প্রাথমিক স্কুল। স্থানীয় বাসিন্দা তৃণমূলের নেতা মকুন্দরাম বাগ বলেন, ‘‘পাকা সেতুর দাবিতে পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েছি। কোনও কাজ হয়নি।’’ কেওড়াতলা পঞ্চায়েতের প্রধান সত্যেন অধিকারী বলেন, ‘‘সেতুর বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক এবং সেচমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।’’ কুলপির বিডি সঞ্জীব সেন জানান, সেচ দফতরের অধীনে ওই খালের উপরে সেতু নির্মাণের বিষয়ে একাধিকবার বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy