থানায় আইনজীবীরা।— নিজস্ব চিত্র।
আদালতের নথিতে কারচুপির অভিযোগে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত সরকারি আইনজীবীর হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের জন্য বসিরহাট আদালতে আর্জি জানাল পুলিশ। আজ, মঙ্গলবার সেই আবেদনের উপরে শুনানি হওয়ার কথা। ঘটনার সিআইডি তদন্ত দাবি করেছে বসিরহাট আদালতের ফৌজদারি বার অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার অভিযুক্ত সরকারি আইনজীবীকে গ্রেফতারের দাবিতে বসিরহাট থানায় বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা। একই দাবি জানানো হয়েছে মহকুমাশাসক শেখর সেনের কাছেও।
অভিযোগটি গত ৬ জুলাইয়ের। ওই দিন বসিরহাট মহকুমাশাসকের দফতরের এক্সিকিউটিভ কোর্টের নথিপত্র আদালতের বাইরে আনার অভিযোগ তোলেন ফৌজদারি বার অ্যাসোসিয়েশনের কয়েক জন সদস্য। তাঁদের দাবি, আইনবিরুদ্ধ ভাবে ওই নথি পাওয়া গিয়েছে সরকারি আইনজীবী জগন্নাথ নাথের সেরেস্তা থেকে। জগন্নাথবাবু ও তাঁর কয়েক জন সঙ্গীর সঙ্গে মারপিট বাধে ফৌজদারি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়-সহ কয়েক জনের। জখম হন বিশ্বজিৎবাবু। আদালতের নথিতে কারচুপি এবং মারধরের অভিযোগে জগন্নাথবাবু-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। পরে মহকুমা প্রশাসনের তরফে সেই অভিযোগ পাঠানো হয় পুলিশের কাছে। বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, বিচারকের নির্দেশের নথি আদালতের বাইরে বের করার পিছনে বেশ কিছু দিন ধরে একটি বড় চক্র কাজ করছে। যার সঙ্গে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন জড়িয়ে। ফৌজদারি বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে ইতিমধ্যেই জগন্নাথবাবু-সহ দু’জনের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। জগন্নাথবাবুর সেরেস্তাটিও নিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরে জগন্নাথবাবু দাবি করেছিলেন, তিনি চক্রান্তের শিকার। তারপর থেকে অবশ্য তাঁর দেখা মেলেনি। মোবাইল ফোনও বেজে গিয়েছে। সোমবার আদালতে দেখা হলেও তিনি মন্তব্য করতে চাননি। বসিরহাট থানার আইসি গৌতম মিত্র আইনজীবীদের বলেন, ‘‘সরকারি নথিতে কারচুপির বিষয়ে তদন্ত বেশ কিছুটা এগিয়েছে। অভিযুক্ত সরকারি আইনজীবীর হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। যার শুনানি হওয়ার কথা ২৮ জুলাই। তা ছাড়া, জগন্নাথবাবুকে থানায় দেখা করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’’ পুলিশের দাবি, মহকুমাশাসককেও চিঠি দিয়ে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান মহকুমাশাসক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy