পদক্ষেপ: সরানো হচ্ছে দখল। ছবি: সুজিত দুয়ারি
অবশেষে হাবড়ার ডহরথুবা এলাকার বাসিন্দা পিঙ্কি দাসের বাড়ির সামনে সরকারি জমিতে থাকা বেআইনি জবরদখল ভেঙে দিল পুরসভা। অভিযোগ, সরকারি জায়গা দখল করে তৃণমূলের লোকজনই ওই অস্থায়ী ঘর তৈরি করেছিল দলীয় কার্যালয় তৈরি করবে বলে।
শুক্রবার সকালে হাবড়া পুরসভার তরফে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে পুলিশের সহযোগিতায়। হাবড়া পুরসভার প্রশাসক তথা বারাসতের মহকুমাশাসক তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘‘সরকারি জমিতে থাকা জবরদখল ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’
অভিযোগ, পিঙ্কির নিজের কেনা জায়গা জবরদখল হয়ে গিয়েছিল বছর আটেক আগে। নেতা-মন্ত্রী, থানা-পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। সম্প্রতি ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেছিলেন পিঙ্কি।
এক সময়ে নিজেই শাবল নিয়ে জবরদখল হওয়া জমিতে থাকা আনাজের দোকান ভেঙে জমির দখল নিয়েছিলেন পিঙ্কি। তিনি জানান, আট বছর আগে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলাম। চায়ের দোকান করি। কয়েকজন লোক ওই দোকান ভাঙচুর করে জমির দখল নেয়। সেখানে আনাজের দোকান বসিয়ে দেয়।’’
পিঙ্কির কথায়, ‘‘প্রায় ২০০ বার ফোন করে দিদিকে বলোতে লাইন পাই। এক মহিলাকে ঘটনার কথা জানাই। তারপরেও জমি পাইনি। বাধ্য হয়ে নিজের জমির দখল নিয়েছিলাম।’’
মহিলার স্বামী গুরুপদ চোখে দেখতে পান না। অসুস্থ। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘ওই মহিলা আমার কাছে এসেছিলেন। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি, ওঁর জায়গা দখল করা যাবে না। ফিরিয়ে দিতে হবে। তৃণমূলের কার্যালয়ও কারও জমিতে করা যায় না। করা হয়ে থাকলে পদক্ষেপ করা হবে।’’
মহিলা জমি দখল নিলেও সেই জমির সামনেই বেআইনি ভাবে সরকারি জমিতে জবরদখল করে রাখা হয়েছিল। ফলে নিজের জমিতে পিঙ্কি চায়ের দোকান চালু করতে পারছিলেন না। এ দিন সেই জমি থেকে সেই জবরদখলই সরাল পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy