গত ১৩ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় খুন হয়েছিলেন পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর। ওই রাতেই এলাকা থেকেই অমিত গ্রেফতার হয়। এক দিন পরে গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপি।
ফাইল চিত্র।
পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে দু’জন। বারবারই পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত আরও কয়েক জন গ্রেফতার হবে। তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নিতে শনিবার ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করলেন অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। প্রায় আধ ঘণ্টা কথাবার্তা চলে। অনুপমকে গুলি চলানোর অভিযোগে ধৃত সুপারি কিলার অমিত পণ্ডিতকে এ দিনই হরিণঘাটায় নিয়ে গিয়ে জিয়ারুল মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন তদন্তকারীরা।
গত ১৩ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় খুন হয়েছিলেন পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর। ওই রাতেই এলাকা থেকেই অমিত গ্রেফতার হয়। এক দিন পরে গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার উপর নজর রেখেছেন। পাশাপাশি অনুপমের পরিবারের পাশে থাকারও তিনি বার্তা দিয়েছেন। এ দিন দুপুরে পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার অফিসে গিয়ে নতুন আরও কোনও সূত্র মিলছে কি না, সে বিষয়ে কথা বলেন মীনাক্ষী। পারিবারিক নিরাপত্তার দিকটিও তিনি তুলে ধরেন। সমস্ত বিষয়েই তাঁকে পুলিশ কমিশনার আশ্বস্ত করেন। পরে মীনাক্ষী বলেন, “তদন্তের বিষয়ে খোঁজ নিতে পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আরও একটু ধৈর্য ধরতে বলেছেন। তদন্তে সহযোগিতা লাগলে, তা করতেও আমি প্রস্তুত। আমি চাই, অনুপমের খুনে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের যেন ধরা হয়।”
সঞ্জীবকে গ্রেফতারের পরে জানা যায়, অনুপমকে খুন করতে পানিহাটি পুরসভার ওই ঠিকাদার কয়েক মাস আগে হরিণঘাটার বাসিন্দা জিয়ারুলকে চার লক্ষ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু জিয়ারুল সেই কাজ না করায়, গত ডিসেম্বরে তাকেও গুলি করে অমিত। প্রাণে বেঁচে যায় জিয়ারুল। এর পরে তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে পিসতুতো ভাই অমিতকে খুনের কাজে লাগায় সঞ্জীব। জানা যায়, যে পিস্তল দিয়ে জিয়ারুলকে গুলি করা হয়েছিল, সেটি দিয়েই অনুপমকে খুন করা হয়েছে। এ দিন হরিণঘাটার মোল্লাবেড়িয়াতে অমিতকে নিয়ে যায় পুলিশ। জিয়ারুল ও অমিতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন তদন্তকারীরা। ব্যারাকপুরের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) অজয় ঠাকুর বলেন, “ধৃতেরা জেরায় যা জানিয়েছে, তার সত্যতা খতিয়ে দেখতে অমিতকে হরিণঘাটায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy