আক্রান্তের বাড়ির সামনে বাঁশ দিয়ে ঘেরা হয়েছে। ছবি: সুজিত দুয়ারি
করোনার প্রকোপ চলছে। তারই মধ্যে এসে পড়েছে ডেঙ্গির মরসুম। একই সঙ্গে ডেঙ্গি এবং করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন গোবরডাঙা পুর এলাকার এক বৃদ্ধ।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বৃদ্ধের চিকিৎসা চলছিল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। শনিবার তাঁর করোনা-রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির লোকেরা। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গির হানায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোবরডাঙা এলাকায়। এ বছর গোবরডাঙা এলাকায় ওই বৃদ্ধই প্রথম ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেন।
পুরসভা ও পরিবার সূত্রে সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙার ৬৭ বছরের ওই বৃদ্ধ দিন কয়েক আগে জ্বরে পড়েন। গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ খান তিনি। জ্বর না কমায় মঙ্গলবার তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর ডেঙ্গি পরীক্ষা করেন। বৃহস্পতিবার রিপোর্টে জানা যায়, তিনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। পাশাপাশি তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। শনিবার সেই পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায়, বৃদ্ধ করোনা-পজ়িটিভ।
হাসপাতালের সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, “বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল থেকে এই মরসুমে ওই বৃদ্ধই প্রথম ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর করোনা-রিপোর্টও পজ়িটিভ এসেছে। একই সঙ্গে দু’টি রোগে আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বেশি থাকে। ওঁর চিকিৎসাও চলছে।” বৃদ্ধের ছেলে জানিয়েছেন, তাঁর বাবাকে শনিবার সকালেই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
গোবরডাঙা পুরসভার পক্ষ থেকে বৃদ্ধের বাড়ি ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুভাষ দত্ত বলেন, “বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পরেই বাড়ি এবং সংলগ্ন এলাকা স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। বৃদ্ধের ছেলে ও স্ত্রীর মধ্যে উপসর্গ রয়েছে। তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গোবরডাঙায় এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন।”
বৃদ্ধের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি এলাকায় একটি মুদিখানা দোকান চালান। ঘুরে ঘুরে কেরোসিন বিক্রি করেন। বৃদ্ধের ছেলের কথায়, “এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। তবে পুরসভা থেকে মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে।” গোবরডাঙার প্রাক্তন পুরপ্রধান সিপিএমের বাপি ভট্টাচার্য বলেন, “একদিকে করোনা, অন্য দিকে ডেঙ্গি। দু’য়ে মিলে এখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। মশা মারার তেল-ব্লিচিং কিছুই ছড়াতে দেখা যাচ্ছে না।
গোবরডাঙা পৌর-উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি পবিত্র মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভা থেকে তেল স্প্রে করা হচ্ছে। তবে আরও বেশি করে করার প্রয়োজন। নিকাশি নালা নিয়মিত পরিস্কার করাও জরুরি।” এলাকার বাসিন্দারা জানালেন, মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে। নালার মধ্যে জল জমে থাকে। সুভাষ বলেন “সপ্তাহে একদিন করে প্রতিটি বাড়িতে মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে। নালা সাফাই, ঝোপ-জঙ্গলও পরিষ্কার করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy