দশম শ্রেণির প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে খুনের পর গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হল দেহ। অভিযোগ উঠল এক কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপের শীলপাড়ায় মঙ্গলবার ভোর থেকেই এ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড। ভোরে নদীবাঁধের কাছে একটি গাছে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছলে স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতদেহ আগলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি, অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তাঁরা মৃতদেহ নামাতে দেবেন না।
সাগর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটির বাড়ি সাগরদ্বীপের ধসপাড়ায়। সে থাকত মুড়িগঙ্গা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের শীলপাড়ায় তাঁর মামার বাড়িতে। সেখানেই স্থানীয় স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত সে। বাবা মারা গিয়েছেন আগেই। মা কলকাতার একটি ব্যাগ কারখানায় কাজ করেন। গত কাল স্কুলে যাওয়ার পর আর মামার বাড়ি ফিরে আসেনি মেয়েটি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, সাগর কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। ছেলেটির মামার বাড়িও শীলপাড়ায়। সেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। সেখান থেকেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জনের। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানায়, গত কাল ওই ছাত্রের সঙ্গে গঙ্গাসাগরে বেড়াতে গিয়েছিল মেয়েটি। তাঁদের সন্দেহ, সেখানে গিয়েই হয়তো মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে ওই যুবক। ফিরে এসে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেয়। উত্তেজিত জনতা ছেলেটির মামার বাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ছেলেটি পলাতক। পালিয়েছেন তাঁর চার মামা এবং মামাতো ভাইরাও। অভিযুক্তের এক মামাতো ভাই অমিত সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এলাকার বাম এবং তৃণমূল নেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy