Advertisement
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পুড়িয়ে মেরে পালিয়ে পুলিশের জালে

মাস পাঁচেক আগে দাদা বৌদি ও ভাইপোকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ১৯ নভেম্বর আমডাঙা থেকেই আলামিন মণ্ডল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।

আদালতের পথে আলামিন মণ্ডল। ছবি:সুদীপ ঘোষ

আদালতের পথে আলামিন মণ্ডল। ছবি:সুদীপ ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
আমডাঙা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৪০
Share: Save:

মাস পাঁচেক আগে দাদা বৌদি ও ভাইপোকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ১৯ নভেম্বর আমডাঙা থেকেই আলামিন মণ্ডল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার বারাসতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আলামিনের গ্রেফতারের কথা জানান।

অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘প্রায় ৬ মাস ধরে আমরা আলামিনকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। ঘটনার পর থেকে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। কখনও সন্ধান মিলেছে হায়দরাবাদ থেকে আবার কখনও অন্য কোথাও থেকে। এখন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার নানা জায়গায় গিয়ে গা ঢাকা দিচ্ছিল সে।’’ তাকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে এমন খুনের ঘটনা জেলাতে ঘটেনি।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে বাড়িতে বছর চারের শিশুপুত্র সাকিবুল হোসেনকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন বাবা জাহাঙ্গির ও মা টুম্পা মণ্ডল। ভোর ৪টা নাগাদ আগুনের তাপ লেগে ঘুম ভাঙে বাবার। ঘুম ভাঙতেই তিনি দেখেন বিছানা দাউ দাউ করে জ্বলছে। প্রাণ বাঁচাতে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ঘর থেকে বেরোতে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। পরে চিৎকার ও আগুন দেখে বাসিন্দারা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। তিনজনকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় শিশুটির। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল জাহাঙ্গির ও টুম্পা মণ্ডলকে। পরে তাঁরাও মারা যান। চলতি বছরের মে মাসের ঘটনা। এরপরেই জাহাঙ্গিরের ভাই আলামিনের বিরুদ্ধে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

কী কারণে আলামিন দাদা বৌদি ও ভাইপোকে পুড়িয়ে খুন করল?

ধৃতকে জেরা করার পর পুলিশ জানিয়েছে, দাদার সঙ্গে নানা বিষয়ে আলামিনের বিবাদ চলছিল। বাড়িতে একটি দেওয়াল দেওয়া নিয়েও বিবাদ বাধে। পাঁচিল দিতে ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়। কথা ছিল দুই ভাই সমান টাকা খরচ করবে। কিন্তু আলামিনের দাবি, তার টাকাতেই পাঁচিলটি দেওয়া হয়। দাদার ভাগের টাকা দাদা দেননি। এমনকী সে দাদাকে যে টাকা ধার দিয়েছিল সে টাকাও তাকে দাদা দিচ্ছিল না বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে।

এই সমস্ত ঝামেলার মধ্যেই আলামিনের বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু দাদা বৌদি ওই বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল বলে তার দাবি। এরপরেই সে দাদা বৌদিকে খুনের পরিকল্পনা করে। কিন্তু ভাইপোকে মারার কোনও পরিকল্পনা ছিল না তার। ঘটনার দিনও দাদার সঙ্গে তার ঝগড়া বেধেছিল। রাতে জানালা দিয়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। এমনকী বাইরে থেকে ঘরের দরজাও বন্ধ করে দিয়েছিল সে। যাতে কেউ বেরোতে না পারে।

ব্যাগে ৪১ লাখ, ধৃত। প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা-সহ এক জন ট্রেন যাত্রীকে ধরল বর্ধমান রেল পুলিশ। বুধবার রাতে আরপিএফের বর্ধমান পোস্টের ইনস্পেক্টর বীরেন্দ্র সাউ জিআরপিতে ওই ব্যক্তির নামে এফআইআর করেন। অভিযোগ, ধানবাদের রাজগঞ্জ থেকে একটি কালো রঙের ব্যাগে করে বাতিল ৫০০ ও এক হাজার টাকা টাকা নোট নিয়ে আসছিলের ওই ব্যক্তি। খবর পেয়ে ডাউন ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসে হানা দেয় পুলিশ। টাকার ব্যাগ-সহ পুলিশ ভুরকুণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা সিদ্ধার্থ সামন্তকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE