অস্ত্রসম্ভার।—নিজস্ব চিত্র।
একই রাতে পর পর দু’টি অভিযান চালিয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল বসিরহাটের পুলিশ। বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র-সহ ধরা পড়েছে ৫ জন। বসিরহাটের চাঁপাপুকুরে একটি স্কুলের সামনে থেকে ধরা পড়ে এনাজ গাজি ও পিন্টু মণ্ডল। শীতলিয়ার বাসিন্দা ওই দুই দুষ্কৃতীর কাছ থেকে ৭টি রিভলবার ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই রাতে ইটিন্ডার গাছা এলাকায় ডাকাতির জন্য জড়ো হয়েছিল গৌতম বিশ্বাস, হাফিজুল মণ্ডল ও সিরাজ আলি বিশ্বাস নামে তিন দুষ্কৃতী। খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরও গ্রেফতার করে। দু’টি রিভলবার ও পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া ৯টি রিভলবারের মধ্যে দু’টি সেমি অটোমেটিক ৭ এমএম এবং একটি ছ’ঘড়ার রিভলবার।’’ ধৃতদের সোমবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হয়।
বসিরহাট থানার আইসি গৌতম মিত্র জানান, চাঁপাপুকুর ও গাছা থেকে ধৃত দুষ্কৃতীরা মূলত অস্ত্র এবং মাদক বিক্রি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত। মেছোভেড়ি, ইটভাটা, পেট্রলপাম্পের ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা আদায়ও করে তারা। পুলিশ জানায়, রাত ১টা নাগাদ অস্ত্র বিক্রির জন্যই এসেছিল এনাজ, পিন্টু-সহ কয়েক জন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে যায়। এক দুষ্কৃতী শূন্যে গুলিও চালায়। কিন্তু পুলিশ ধাওয়া করে এনাজ ও পিন্টুকে ধরে ফেলে। বাকিরা পালায়।
এই ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশের কাছে খবর আসে, গাছা এলাকায় কয়েক জন দুষ্কৃতী এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির জন্য জড়ো হচ্ছে। সেখানে অপারেশন চালিয়ে পুলিশ তিন জনকে ধরে ফেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বসিরহাট এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছিল। কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলাতে নামে পুলিশ। কয়েক দিন আগেই মোমিনপুর গ্রামে অটো চালকদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা তোলা চেয়েছিল পিন্টু। এই ঘটনা নিয়ে সালিসি সভাও ডাকা হয়েছিল। এরপরেই পিন্টু তার সঙ্গীদের নিয়ে সফিকুল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির উপর গুলি চালায়। তিনি সম্পর্কে পিন্টুর কাকাশ্বশুর। পুলিশ জানতে পারে, অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে পিন্টু মণ্ডলও আছে। সে কথা এসডিপিওকে জানানো হয়। শুরু হয় সাদা পোশাকে পুলিশি অভিযান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy