দোষের মধ্যে, নিজের পছন্দের দলের পতাকা লাগিয়েছিলেন। তারই জেরে এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার ফুলমালঞ্চ অঞ্চলের খাসচকের সিং পাড়ায়।
ক্যানিঙের এসডিপিও সৌম্য রায় বলেন, ‘‘এক ব্যাক্তির ঘর পুড়েছে বলে জেনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ওই এলাকায় বামজোট মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। এলাকায় দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা পতাকা টাঙানো থেকে শুরু করে দেওয়াল লেখা শুরু করেছেন বাসন্তীর আরএসপি প্রার্থী সুভাষ নস্করের সমর্থনে। ওই এলাকায় সিপিএম কর্মী বনকুমার সিংহও তাঁর বাড়িতে দলীয় পতাকা লাগিয়েছিলেন।
অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সুনীল রায়, সুব্রত সিংহ, অজিত রায়রা পতাকা খুলে ফেলতে বলে। সুভাষ নস্করের নামে গালিগালাজও করে। প্রতিবাদ করেন বনকুমার। সেই আক্রোশেই তৃণমূলের লোকজন তাঁকে মারধর করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আশপাশের লোকেরা আগুন নেভাতে গেলে তাদের শাসক দলের পক্ষ থেকে শাসানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বনকুমার বলেন, ‘‘আমি সিপিএম করি। বাড়িতে দলের পতাকা লাগিয়েছিলাম। সে জন্য ওরা আমাকে হুমকি দিচ্ছিল। দলের প্রার্থীকে গালাগাল দিচ্ছিল। আমি প্রতিবাদ করায় হামলা করল।’’
সিপিএমের বাসন্তী জোনাল কমিটির সম্পাদক রতন বসুর কথায়, ‘‘ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ওরা আমাদের দলীয় কর্মীদের উপরে ততই আক্রমণ শুরু করেছে। আসলে ওদের পাশ থেকে মানুষ সরে যাওয়ায় হেরে যাবে বলে বুঝতে পেরেছে। সে কারণেই আমাদের উপরে বেশি করে আক্রমণ শানাচ্ছে।’’
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বাসন্তী ব্লক তৃণমূল সভাপতি মন্টু গাজি বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। মদ্যপ অবস্থায় একজন নিজেই নিজের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তা নিয়ে সিপিএম নোংরা রাজনীতি করছে। যেখানে নির্বাচন কমিশনের এত কড়াকড়ি, সেখানে তৃণমূল এই ভুল করবে না। আমাদের নামে বদনাম রটানো হচ্ছে।’’
কয়েক দিন আগে জীবনতলায় সিপিএমের বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয় খোলার পরে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন দলীয় কর্মীরা। তৃণমূলের লোকজন সিপিএমের তান কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়ায় গত কয়েক দিন আগে দলীয় পতাকা লাগাতে গেলে তৃণমূলের লোকজন আরএসপি কর্মী সালাউদ্দিন মোল্লাকে মারধর করে হাত ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ। এ সসব কথা অবশ্য মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। সবই বিরোধীদের অপপ্রচার, দাবি তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy