দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু স্কুলে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা গায়েব। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু স্কুলে ট্যাবের টাকা পায়নি অর্ধেক পড়ুয়া। প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে, কোথাও অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল থাকার কারণে, কোথাও প্রাপকের নাম ভুল থাকার জন্য টাকা ঢোকেনি। তবে এই ‘ভুলের’ নেপথ্যে হ্যাকারদের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রাজ্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই আবহে গঙ্গাসাগরের মহেন্দ্রগঞ্জ হাইস্কুলে ৩১ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হ্যাকারদের বিরুদ্ধে। সাগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, মালদহে ট্যাব প্রতারণা চক্রের নাগাল পেতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
মহেন্দ্রগঞ্জ হাইস্কুল ছাড়াও ওই জেলারই কুলপি মদনমোহনপুর আরসি স্কুলের ১৫ জন পড়ুয়া ট্যাব কেনার টাকা পায়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মহেন্দ্রগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক শ্যামলকুমার বালা জানিয়েছেন, ৩১ জন পড়ুয়ার টাকা তুলে নিয়েছেন হ্যাকারেরা। তার পরেই থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেলা শিক্ষা অধিকর্তাকে জানিয়েছেন।
ট্যাব কেনার জন্য ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু অনেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে না বলে অভিযোগ। শুরুটা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। সেখানে বেশ কয়েক জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার পর বেশ কয়েকটি জেলা থেকে একই অভিযোগ উঠে আসে। রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’-এর উপভোক্তাদের জন্য পাঠানো টাকা কী ভাবে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে কলকাতাতেও ট্যাবের টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই মর্মে অভিযোগ দায়ের হয়েছে যাদবপুর, সরশুনা, জোড়াসাঁকো, গল্ফগ্রিন থানায়। জানা গিয়েছে, যাদবপুরের এক স্কুলের ১২ জন পড়ুয়া এবং ঠাকুরপুকুরের এক স্কুলের ৩১ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত সোমবার নবান্নে বিশেষ বৈঠক হয়। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। নবান্ন সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে রাজ্য সরকারের কাছে যে তথ্য এসেছে, তাতে প্রধানশিক্ষকদেরই গাফিলতি ধরা পড়েছে। বিষয়টিতে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব বিনোদ কুমারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy