পার্থ ভৌমিক। —ফাইল চিত্র।
৩০ শতাংশ ভোট হতেই বেলা গড়িয়ে গিয়েছিল। বেলাশেষে দেখা গেল ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ। শাসক দলের কারসাজিতেই এমন হয়েছে বলে বিরোধীরা সরব হলেও ছাপ্পা ভোট বা বুথ দখলের অভিযোগ কিন্তু ওঠেনি। সকাল থেকেই বুথগুলি অস্বাভাবিক ফাঁকা ছিল। ভোটকেন্দ্রের বাইরে নজরদারি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর।
ভোট চলাকালীন বিরোধী তিন প্রার্থীকে ফোন করে ভোট প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চেয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক। বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিআই (এমএল)লিবারেশনের প্রার্থীরা জানালেন, সাংসদ খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন। তার পরেও বহিরাগতদের এই এলাকায় দেখা গিয়েছে। কংগ্রেসের প্রার্থী পরেশ সরকারও বলেন, “পার্থ আন্তরিক ভাবে খোঁজ নিয়েছেন। ভাল লাগল এই সৌজন্য। কিন্তু বাইরের লোকজন ঢুকেছে, সে কথা আমি বলেছি পার্থকে।” বিজেিপ প্রার্থী রূপক মিত্র বলেন, ‘‘পার্থ বলে এক জন ফোন করেছিলেন। প্রথমে বুঝতেই পারিনি। পরে বুঝলাম আমাদের সাংসদ। ভাল লাগল এই সৌজন্য।’’ সাংসদ বলেন, “আমি সবাইকে আশ্বস্ত করেছি। সবাই বলেছেন, শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে।’’
যদিও কাঁচরাপাড়া রিফিউজি ফিশারমেন্স কোঅপারেটিভ-এর দফতরে তিনটি বুথের একটিতেও এজেন্টদের না পেয়ে হতাশ পরেশ বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে তো আমার ছোট ভাইয়ের মতো। পাল্লা ভারী ওর দিকেই। বিজেপি প্রার্থী রূপক খাটিয়ে ছেলে। কিছু পকেট ভোট ও পাবে। বাম প্রার্থীও পরিশ্রমী। ওঁদেরও কিছু বাঁধা ভোট আছে নৈহাটিতে। একমাত্র আমিই ৫৭টি বুথে এজেন্ট দিতে পেরেছিলাম। ঘুরে দেখছি তাঁদেরও অনেকে নেই। ২ শতাংশ ভোট ছিল আমাদের। অন্তত সেটাযদি বাড়ে!’’
সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের প্রার্থী দেবজ্যোতি মজুমদারের অভিযোগ, ‘‘চাপা সন্ত্রাস হয়েছে ভোটের আগের রাতে। পাল্লাদহে আমাদের আট এজেন্টের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। আমডাঙা ঘেঁষা এলাকায় বহিরাগতরা ঢুকেছে। এত কিছুর সঙ্গে শাসক দলের তরফে সৌজন্যও দেখানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy