ধুলোয়-ঢাকা: নিজস্ব চিত্র
বার বার সারানোর দাবি উঠলেও হাল ফেরেনি ব্যারাকপুরের ফিডার রোডের। বর্ষা হলে কাদা এবং বাকি সময় ধুলোয় ভরে থাকে ওই রাস্তা।
প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটির তিন কিলোমিটার এলাকা গাড়ুলিয়া ও ভাটপাড়া পুর এলাকায় পড়ে। বাকি দু’কিলোমিটার অংশ কাউগাছি ১ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। কিন্তু পুরসভা এবং পঞ্চায়েত দু’পক্ষই রাস্তা সারানোর ব্যাপারে বার বারই হাত তুলে নিয়েছে। দুই পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের দাবি, তাদের ওই রাস্তা সংস্কারের ক্ষমতা নেই।
ইদানীং রাস্তা সারাইয়ের দায়িত্ব এসেছে পূর্ত (সড়ক) দফতরের হাতে। তাদের আশ্বাস, দ্রুত সারানো হবে রাস্তা।
প্রতিটি নির্বাচনের আগেই প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে ফিডার রোডের সংস্কারের বিষয়টি থাকে। ভোট মিটে যায়। রাস্তার সংস্কার আর হয় না। বছরের পর বছর চলছে এই পরিস্থিতি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস সাতেক আগে জেলা পরিষদ ফিডার রোড সংস্কারের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু এরপরে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে ওই রাস্তাটি পূর্ত দফতরের আওতাধীন হয়ে যায়। ফলে ওই রাস্তা সারানোর জন্য জেলা পরিষদের বরাদ্দ টাকা খরচ হয়নি। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটির কাজ শুরুর জন্য পূর্ত দফতরের মুখ্য সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কর্তারা। পূর্ত দফতর থেকে ওই রাস্তাটি সারানোর জন্য নতুন করে টেন্ডার ডাকা হয়। কিন্তু ওইটুকুই। রাস্তার হাল এখনও ফেরেনি।
ফিডার রোডে টোটো চালান সুব্রত শীল, দেবাঞ্জন সেন। তাঁদের ক্ষোভ, ‘‘রাস্তার এই দশার জন্য ভাড়ার টাকা টোটো সারাতেই খরচ হয়ে যায়।’’ ফিডার রোডের দু’ধারে তিনটি কারখানা রয়েছে। মার্বেল, সিমেন্ট ও হার্ডওয়্যারের দোকানও রয়েছে কয়েকটি। সেগুলিতে নিয়মিত ট্রাক যাতায়াত করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মালবোঝাই ট্রাকগুলির জন্য ওই রাস্তায় গর্ত বাড়ছে। গর্ত বোজাতে মাঝে মাঝে তাপ্পি দেওয়া হয়। যা থেকে আরও বেশি ধুলো ওড়ে।
ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী বলেন, ‘‘ওই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটি সারানোর জন্য পূর্ত দফতরকে বার বার বলা হয়েছে। কেন ওঁরা গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না, আশ্চর্য লাগছে।’’ পূর্ত দফতরের ব্যারাকপুর ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা খুব শীঘ্রই ওই রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy