বয়স্ক এক ব্যক্তিকে মাস্ক দিচ্ছে পুলিশ। বুধবার, সোনারপুরে। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল হতেই সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের ক্ষেত্রে প্রবল গা-ছাড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত পুলিশও। বুধবার তাই সোনারপুর থানার তরফে সোনারপুর মোড়-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এক হাজার মাস্ক বিলি করা হল সাধারণ মানুষের মধ্যে।
পুলিশকর্তাদের বক্তব্য, করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। কিন্তু বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে মাস্ক না পরার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই তাঁদের সচেতন করতে মাস্ক হাতে নিয়ে রাস্তায় নামা হয়েছে। সোনারপুর থানার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘দরিদ্র মানুষদের অনেকেই টাকার অভাবে মাস্ক কিনতে পারছিলেন না। টহলদারির সময়ে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। মাস্ক না পরায় বেশ কয়েক জনকে ধরা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা জানিয়েছেন, আর্থিক কারণেই মাস্ক কিনে পরা সম্ভব হচ্ছে। এর পরেই মাস্ক তৈরি করিয়ে তা গরিব মানুষের মধ্যে বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ দিন সোনারপুর থানার বেশ কয়েকটি জায়গায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এক হাজার মাস্ক বিলি করা হয়েছে। সোনারপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহ ধরে ওই থানার আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায়, প্রধানত গরিব মানুষদের মধ্যে আরও দশ হাজার মাস্ক বিলি করা হবে। পাশাপাশি, থানা এলাকার বাসিন্দাদের মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতন করা হবে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার এক কর্তা বলেন, ‘‘লকডাউনের বিধি-নিষেধ ধীরে ধীরে শিথিল করা হয়েছে। এখন লোকাল ট্রেন চালানো ছাড়া প্রায় সব কিছুই চালু হয়ে গিয়েছে। আগের পরিবেশ ফিরে আসায় অনেকের মনে সংক্রমণের ভয়টা আর কাজ করছে না। লকডাউন শিথিল হলেও সংক্রমণ কিন্তু বেড়েই চলেছে। সেই কারণে মানুষকে সচেতন করতেই এই ধরনের উদ্যোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy