প্রতীকী ছবি।
মহারাষ্ট্র থেকে বনগাঁয় ফিরে আসা এক শ্রমিক আক্রান্ত হলেন করোনাভাইরাসে। শুক্রবার স্বাস্থ্যদফতর ও পুরসভায় ওই শ্রমিকের লালারসের রিপোর্ট আসে। তাঁর করোনা পজিটিভ বেরিয়েছে।
বনগাঁ পুরসভার প্রশাসক শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘ওই যুবকের বাড়ি বনগাঁ শহরে। তিনি মহারাষ্ট্রে কাজ করতেন। রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় বাড়ি ফিরেছিলেন। ১৫ মে আসানসোলে তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে আমাদের জানানো হয়েছে, রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।’’
বনগাঁ বিএমওএইচ মৃগাঙ্ক সাহা রায় জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত ওই পরিযায়ী শ্রমিককে এ দিন নিউটাউনের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরার পরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে না থেকে এলাকার একটি মন্দিরে একা থাকতেন। তাঁর স্ত্রী খাবার পৌঁছে দিতে যেতেন। পুরপ্রশাসক বলেন, ‘‘আক্রান্ত শ্রমিকের স্ত্রী-সহ পরিবারে ৯ জন রয়েছেন। ওঁর পরিবারের লোকজন এলাকায় কারও সঙ্গে মেলামেশা করেছিলেন কিনা, পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা তা খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন। এলাকাটি কনন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।’’ দমকল বাহিনী এলাকা স্যানিটাইজ় করছে।
এই যুবককে নিয়ে বনগাঁ মহকুমায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ জন। তবে মহকুমায় ফেরা কোনও পরিযায়ী শ্রমিক এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হলেন।
এ দিকে, শুক্রবার সকাল থেকেই বনগাঁ শহর-সহ গোটা মহকুমার বহু লোকজন মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়েছেন বলে দেখা গেল। সাইকেল চালক, বাইক চালক, ভ্যান চালক, পথচারীরা প্রায় কেউই মাস্ক পরেননি। শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই চলছে যাতায়াত। প্রবীণরাও মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরিয়েছেন। একটি ইঞ্জিনভ্যানে ১০ জন গাদাগাদি করে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। মুখে কারও মাস্ক নেই। মিষ্টির দোকান, মুদির দোকান, চায়ের দোকানে মাস্ক না পরে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন অনেকেই।
বাগদায় দিন কয়েক আগে এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাগদা থানা এলাকাতেও বহু মানুষ মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হাবড়া, অশোকনগরেও দেখা গিয়েছে, অনেকেই মাস্ক না পরে বেরিয়েছেন। কারও আবার মুখে মাস্ক থাকলেও তা থুতনির নীচে ঝুলছিল। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মাস্ক না পরে বাইরে বের হওয়াটা এখনও বিপজ্জনক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy