জীবাণুনাশ: করোনা ধরা পড়ার পড়ে সতর্কতা শহরে। নিজস্ব চিত্র
করোনা-আক্রান্ত হলেন এক প্রাক্তন সেনাকর্মী। বসিরহাটের জিরাকপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পরে কলকাতা বন্দরে চাকরি করতেন। ২২ এপ্রিল সেখান থেকে বসিরহাটে ফিরেছিলেন। জ্বর ছিল। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখানোর পরে বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তিও হন। পরে আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বসিরহাট হাসপাতালেই লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল তাঁর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার করোনা-রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরেই পরিজনদের নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে। এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।
বসিরহাট জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই ব্যক্তির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাঁর ছেলে-বৌমাকে জেলারই একটি নিভৃতবাস কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।’’ জেলা পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানান, জিরাকপুর এলাকার বাজার বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি মানুষ যাতে ঘোরাঘুরি করতে না পারেন, সে জন্য শসিনা থেকে জিরাকপুর হয়ে বসিরহাট রেলগেট পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বসিরহাটের মহকুমাশাসক, এসডিপিও, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও এবং পুলিশ এলাকায় গিয়ে পাড়ার বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করেন। প্রায় এক কিলোমিটার গণ্ডিবদ্ধ (কন্টেনমেন্ট জ়োন) এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানকার এক হাজারের উপর মানুষ যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে পান, স্থানীয় প্রশাসন সে ব্যবস্থা করেছে। আনাজ, মুদিখানা, ওষুধ ও অন্যান্য জিনিসপত্র বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছনোর জন্য ১২ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, অসুস্থ অবস্থায় লকডাউনের সময়ে ওই ব্যক্তি কেন বসিরহাটে ফিরলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
যে অ্যাম্বুল্যান্সে করে ওই ব্যক্তি এবং তাঁর স্ত্রী কলকাতায় গিয়েছিলেন, তার চালককে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। যে চিকিৎসকের কাছে তিনি প্রথমে গিয়েছিলেন, তাঁকেও নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তাঁর চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছে। গত কয়েক দিনে কারা ওই চিকিৎসকের কাছে এসেছিলেন, তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy