বিতর্ক: এই পুকুর সংস্কার নিয়েই অভিযোগ উঠেছে। —নিজস্ব চিত্র।
পুকুর সংস্কারকে কেন্দ্র করে টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠেছে সিপিএম পরিচালিত ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। যদিও সিপিএমের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কারণেই মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর একশো দিনের কাজের অধীনে ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকায় মহাদেব দাস-সহ কয়েকজনের পুকুর সংস্কারের অনুমোদন মেলে। গত জুলাই মাসে প্রকল্প অনুমোদন পেলেও বর্ষা এসে যাওয়ায় মহাদেববাবুর বড় পুকুর একশো দিনের কাজের অধীনে সংস্কার হয়নি। অভিযোগ, সংস্কার কাজ না হলেও ওই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। মহাদেববাবুর ছেলে পরিতোষবাবু বলেন, ‘‘পুকুর সংস্কার না হলেও শুনলাম আমাদের নামে টাকা তোলা হয়েছে। যদিও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে অভিযোগ মানা হয়নি।’’
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পুকুর সংস্কার করা না হলেও মহাদেববাবুদের নাম ওয়েবসাইটে উপভোক্তার তালিকায় তুলে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু মণ্ডলের দাবি, ওই প্রকল্পের সুপারভাইজার এবং পঞ্চায়েত সদস্য মিলে টাকা তছরুপ করেছেন। তাঁর বক্তব্যের সমর্থন মিলেছে স্থানীয় জবকার্ডধারী বিমল প্রামাণিকের কথায়।
তাঁর দাবি, ‘‘ওই সময়ে কারও পুকুরে কাজ করিনি। কিন্তু আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। বাড়তি টাকা সুপারভাইজারকে দিয়ে দিতে হয়। এখানে এটাই নিয়ম।’’ তৃণমূলের দাবি, বিষয়টি জানানোর পরেও ব্লক প্রশাসন থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েত। ওই পঞ্চায়েতের কর্তাদের দাবি, মহাদেববাবুর পুকুর সংস্কার যেমন হয়নি, তেমনই সে জন্য কোনও টাকাও তোলা হয়নি।
সিপিএমের প্রধান শ্যামলী দাস বলেন, ‘‘নামখানা ব্লকের মধ্যে একমাত্র ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েতটাই তৃণমূল দখল করতে পারেনি। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলে রাজনীতি করতে চাইছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রচারে নামব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy