আক্রান্ত এক দলীয় সমর্থক। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটে ৪২টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করার পরেই আবারও উত্তপ্ত হল ভাঙড়। রবিবার সন্ধ্যায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় পোলেরহাট থানার পশ্চিম সাতুলিয়া এলাকা। আহত হন দুই দলেরই বেশ কয়েক জন। এই ঘটনায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল এবং আইএসএফ।
আইএসএফের দাবি, সাতুলিয়ায় বুথ কমিটির মিটিং চলাকালীন তাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালায় ৫০-৬০ জন ‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী’। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, আইএসএফ কর্মীরাই তাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে। গোটা ঘটনায় আহত হন উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন। অশান্তির খবর শুনে পোলেরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই দলই পোলেরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বিধানসভা। তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও অশান্তি থামেনি ভাঙড়ে। অনেকের মৃত্যুও হয়েছে রাজনৈতিক হিংসায়। এক সময়ে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ঢুকতেই পারছিলেন না আইএসএফ নেতা তথা স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সেই পরিস্থিতিতে ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত জুলাই মাসে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
ভাঙড় যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী করেছে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে। আর তৃণমূল প্রার্থী করেছে সায়নী ঘোষকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy